ঘুষ লেনদেন : ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালককে তলব

Looks like you've blocked notifications!
পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমান (বাঁয়ে) ও দুদকের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক এনামুল বাছির। ছবি : সংগৃহীত

ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পুলিশের আলোচিত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক এনামুল বাছিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক।

আজ সোমবার দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো তলবি নোটিশে তাদের আগামী ১ জুলাই হাজির হতে বলা হয়েছে। দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে। টিমের অপর সদস্যরা হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ঘুষের মামলায় ডিআইজি মিজান, এনামুল বাছির এবং সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারকে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের বিষয়ে আগামী ১ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মুখে থাকা ডিআইজি মিজানুর রহমান দুদকের তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যমে বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পরপর এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যদিও পরিচালক এনামুল বারবার দাবি করেন, রেকর্ডকৃত বক্তব্যগুলো কণ্ঠ নকল করে বানানো।

২০১৮ সালের ৩ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। প্রথমে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী; পরে এই দায়িত্ব পান এনামুল। পরে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদ। গত ১২ জুন তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এদিকে তিন কোটি সাত লাখ পাঁচ হাজার ২১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নেসহ ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মামলার অন্য আসামিরা হলেন মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান।