দেড়ঘণ্টা পর ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেই সেতু’ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু

Looks like you've blocked notifications!
ঝুঁকি মাথায় নিয়েই মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনের কাছের বড়ছড়া রেলসেতুটি দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। ছবি : এনটিভি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনের কাছে বড়ছড়া রেলসেতুটি অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আটকা পড়ে সিলেট থেকে চট্রগ্রামগামী আন্তনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস। দেড় ঘণ্টা আটকে থাকার পর বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনটি রেলসেতুটি পার হয়।

গত রোববার রাতে সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের একটি ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে যায়। এর মধ্যে দুটি বগি উদ্ধার করে নিয়ে গেলেও বড়ছড়া রেলসেতুর নিচে একটি বগি ও তিনটি বগি উদ্ধার করে রেললাইনের পাশে রাখা হয়। অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বড়ছড়ার ভেতর পড়ে থাকা বগিটির কারণে ছড়ায় পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে ঝুঁকিতে পড়েছে রেলসেতুটি। পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে যে কোন সময় এটি ধসে পড়ে আবারও সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হতে পারে। ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

গত রোববারের দুর্ঘটনার পর পানিতে পড়ে যাওয়া বগিটি না সরানোয় ক্ষতির মুখে পড়েছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনের কাছের বড়ছড়া রেলসেতুটি। ছবি : এনটিভি

বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইসহাক চৌধুরী ইমরান জানান, গতকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে বড়ছড়ায় পানি বেড়েছে এবং একটি বগি ছড়ায় পড়ে থাকায় পানি স্বাভাবিকভাবে নামছে না। পানির তোড়ে সেতুটির একটি পিলারের নীচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, ছড়ার ভেতর পড়ে থাকা ট্রেনের বগিটি দ্রুত ছড়া থেকে অপসারণ করা না গেলে রেলসেতুটির ক্ষতি হতে পারে।

এ বিষয়ে কুলাউড়া জংশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মুহিতুর রহমান জানান, খবর পেয়ে রেলওয়ের প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ট্রেন চলাচলের উপযোগী থাকায় প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু করে।