ছেলের হত্যাকাণ্ড দেখে ফেলায় মাকেও হত্যা, গ্রেপ্তার ৭

Looks like you've blocked notifications!
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় হত্যার শিকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলতাব হোসেন মুকুল ও তাঁর মা রেজিয়া খাতুন। ছবি : সংগৃহীত

ছেলের হত্যাকাণ্ড দেখে ফেলায় মাকেও হত্যা করা হয়। মসজিদ ও বালুমহাল নিয়ে বিরোধের জের ধরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার জানান, এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যার কাজে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি, দুটি ছুরি, একটি বড় হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব মহেষপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৭০), রহমত উল্লাহ পান্না (৩৮), রফিকুল ইসলাম (৫৭), মনছুর আলী সরকার (২২), হাফিজুল ইসলাম (৩৫), দেলোয়ার হোসেন দুলাল (৫০) ও সাইদুর রহমান বাচ্চু (৩৮)। আসামিদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, মসজিদ ও বালু মহাল নিয়ে আসামিদের সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলতাব হোসেনে মুকুলের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিক মামলাও রয়েছে। এই বিরোধের জের ধরে মুকুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন উল্লাপাড়ার পূর্ব মহেষপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ ও তার সহযোগীরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে তাঁর সহযোগীরা আলতাব হোসেন মুকুলের বাড়িতে ঢুকে প্রথমে আলতাব হোসেন মুকুলকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটি তার মা রেজিয়া খাতুন দেখে ফেলায় তাঁকেও এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে এবং দুজনেরই পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

এ ঘটনায় মুকুলের স্ত্রী শামীম আরা অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদসহ ২১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ শুক্রবার আবুল কালাম আজাদ, রহমত উল্লাহ পান্না, রফিকুল ইসলাম ও মনছুর আলী সরকারকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল শনিবার আবুল কালাম আজাদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আজ রোববার সকালে আরো তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে এ মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।