যুবলীগ নেতা হত্যা

সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানার জামিন স্থগিত

Looks like you've blocked notifications!

টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আরো এক সপ্তাহ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছেন আদালত। এ সময়ের মধ্যে তাঁকে লিভ টু আপিল করতে হবে।

আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যার বেঞ্চ  বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে ফের রানার কারামুক্তি আটকে গেল।

আদালতে আমানুর রহমান রানার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ।

গত ২০ জুন রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিতের আবেদন করে। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ওই দিন ১ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন।

আগের দিন এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আমানুর রহমান খান রানাকে স্থায়ী জামিন দেন।

গত ৬ মার্চ হাইকোর্ট রানাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে জামিন স্থগিত করে রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।।

যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নে। পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়াকে আটক করা হলে তারা হত্যায় জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।