লতিফ সিদ্দিকীর অর্ধ ডজন রোগ, তাই জামিন প্রয়োজন
আওয়ামী লীগের সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর দুর্নীতি মামলার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। আগামীকাল বুধবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সুব্রত কুমার কুন্ডু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ওমর ফারুক।
জামিন আবেদনে শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বয়স ৮০ বছর পার হয়েছে। তিনি হৃদরোগ, পাইলস, স্পাইনাল কর্ড, কিডনি, লিভার, গ্যাস্ট্রিকসহ প্রায় অর্ধ ডজনে রোগে আক্রান্ত। জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন, বরং নির্দোষ। জামিন পেলে তিনি এর অপব্যবহার করবেন না।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার দরিয়াপুর মৌজায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ২.৩৮ একর সরকারি জমি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দরপত্র ছাড়াই কম মূল্যে বিক্রি করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ তুলে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর অক্টোবরে ৪০৯/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় লতিফ সিদ্দিকী ও বেগম জাহানারা রশিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের বগুড়া শাখার সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।
বাদী নিজেই মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়ে এ বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ২০ জুন লতিফ সিদ্দিকী বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩০ জুন লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী হলফমূলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আজ সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়।