ঝালকাঠির নরসুন্দর শেফালী রানীকে জমি ও ঘর দিলেন প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঝালকাঠীর নরসুন্দর শেফালী রানীর হাতে জমির দলিল তুলে দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। ছবি : এনটিভি

এনটিভিসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার নরসুন্দর শেফালী রানীকে জমি ও ঘর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান কাঁঠালিয়ার দোগনা গ্রামে গিয়ে শেফালী রানীর হাতে জমির দলিল তুলে দেন। তাঁকে চার শতাংশ জমিতে একটি একতলা ভবন করে দেওয়া হবে।

জমি পাওয়া এবং ভবন নির্মাণের সুসংবাদ শুনে শেফালী রানী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি কষ্টে আছেলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আগয়ে আসবে আমি ধারণাও করতে পারিনি।’

এ সময় প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শেফালী রানীর দুরবস্থার কথা গণমাধ্যমে তুলে ধরায় বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছে। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের খবর রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশে শেফালী রানীকে চার শতাংশ জমি ও একটি ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।

পরে দোগনা বাজারে সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালায়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোহসীন, ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমাদুল হক মনির ও শৌলজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহামুদুর রহমান রিপন।

১৫ বছর আগে স্বামী নিরুদ্দেশ হওয়ার পর অসহায় হয়ে পড়েন শেফালী রানী শীল (৫০)। পাঁচ ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া ও সংসার চালানো দায় হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে যে টাকা পাওয়া যেতো, তা দিয়ে কোনো রকমের খাবার জুটতো। কখনো একবেলা খেয়ে পুরো দিন কাটতো ছয় সদস্যের এ পরিবারের। বাধ্য হয়ে স্বামীর পেশাকে বেছে নেন তিনি। সেই থেকে ১৫ বছর ধরে পুরুষের চুল, দাড়ি কাটছেন শেফালী রানী। দোগনা বাজারে এক প্রবাসীর ঘরের বারান্দায় তিনি সেলুন দেন। এ কাজেই চলছে তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। সামান্য আয়ে অভাব-অনটনের মধ্যে কেটে যাচ্ছিল তাঁর দিন।