রিফাত হত্যাকাণ্ড : এবার চন্দন ও হাসানের জবানবন্দি

Looks like you've blocked notifications!

বরগুনায় স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি আদালতে ১৬৪ ধরায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ নিয়ে আলোচিত এই মামলায় মোট চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে মামলার চার নম্বর আসামি চন্দন ও নয় নম্বর আসামি মো. হাসান জবানবন্দি দেয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে দাবি করেছেন, তারা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

পরিদর্শক আরো বলেন, ‘চন্দন ও হাসানকে গ্রেপ্তারের পর গত ২৮ জুন আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার তাদের ফের আদালতে হাজির করা হয়। তখন তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।’

এর আগে এ মামলার ১১ নম্বর আসামি অলি এবং ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত তানভীর একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

গত ২৬ জুন সকালে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে কলেজ থেকে ফেরার পথে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ একদল যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো দা দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রিফাতের স্ত্রী আয়শা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন; কিন্তু তাদের থামানো যায়নি। তাঁরা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়।

এ হত্যার ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বৃহস্পতিবার সকালে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন।

এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচজন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

এজাহারভুক্ত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মামলার ২ নম্বর আসামি রিফাত ফরাজী (২৩), ৪ নম্বর আসামি চন্দন (২১), ৯ নম্বর আসামি মো. হাসান (১৯), ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি (২২) ও ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় (২১)। এ ছাড়া রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. নাজমুল হাসান (১৯), তানভীর (২২), মো. সাগর (১৯), কামরুল হাসান সাইমুন (২১) ও রাফিউল ইসলাম রাব্বি।

চন্দন ও হাসান ছাড়াও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাগর, সাইমুন ও নাজমুলকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।