ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসাশিক্ষক আটক, গণধোলাই

Looks like you've blocked notifications!
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল শুক্রবার দুপুরে মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল খায়ের বেলালীকে আটক করে পুলিশ। ছবি : সংগৃহীত

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আবুল খায়ের বেলালী নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বাদে আঠারবাড়ি গ্রামের মা হাওয়া (আ.) কওমি মহিলা মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। এর আগেও এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

আবুল খায়ের বেলালী সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার গোনাকালী গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দুয়া উপজেলায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তিনি।

এদিকে আবুল খায়ের বেলালীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে, আবুল খায়ের শিক্ষক হিসেবে বাদে আঠারবাড়ি গ্রামে নবনির্মিত মা হাওয়া (আ.) কওমি মহিলা মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছিলেন। শুক্রবার সকালে মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে তিনি তাঁর কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ সময় এলাকার লোকজন ওই শিক্ষককে আটক করে গণধোলাই দেয়।

খবর পেয়ে কেন্দুয়া থানার পুলিশ গিয়ে আবুল খায়েরকে আটক করে থানা নিয়ে যায়।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে বিষয়টি টের পেয়ে এলাকার লোকজন শিক্ষক আবুল খায়েরকে আটক করে। পরে পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে আসে।

এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল জানিয়ে ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘দুই শিশু ছাত্রীকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’