রিফাত হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় দুজন ৫ দিনের রিমান্ডে
বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় এবং সন্দেহভাজন অভিযুক্ত রফিউল ইসলাম রাব্বিকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শনিবার বিকেলে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২ জুলাই মঙ্গলবার একই আদালত তাদের প্রথম দফায় রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় ও সন্দেহভাজন অভিযুক্ত রাফিউল ইসলাম রাব্বিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
এর আগে গত সোমবার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা তানভীর একই আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এরপর গত বৃহস্পতিবার এ মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসানও একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর শুক্রবার একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ দেখে সনাক্ত হওয়া ও তদন্তে বেরিয়ে আসা অভিযুক্ত মো. সাগর ও নাজমুল হাসান। এছাড়াও এ মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজি সাত দিনের এবং অপর সন্দেহভাজন অভিযুক্ত সাইমুন পাঁচ দিনের রিমান্ডে রিমান্ডে রয়েছেন।
গত ২৬ জুন সকালে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে কলেজ থেকে ফেরার পথে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ একদল যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো দা দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রিফাতের স্ত্রী আয়শা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন; কিন্তু তাদের থামানো যায়নি। তাঁরা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়।
এ হত্যার ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বৃহস্পতিবার সকালে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন।