রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের নির্দিষ্ট সময় বলা যাচ্ছে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
‘ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপ্টেশন’ উপলক্ষে আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ছবি : এনটিভি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চালু থাকলেও প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো সময়ের কথা বলা যাচ্ছে না।

আজ সোমবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপ্টেশন’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সম্প্রতি চীন মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘সুখের বিষয়, গণচীন মিয়ানমারের ওপর তার যথেষ্ট প্রভাব আছে, সেই সরকার, সেই সরকারের টপ মোস্ট প্রেসিডেন্ট, প্রাইম মিনিস্টার, স্পিকার, বাকি লিডার সবাই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন যে তাঁরা এ ব্যাপারে আমাদের সাহায্য করবেন। এবং মিয়ানমারে তাঁরা আলোচনা করে দেখেছেন যে মিয়ানমারের এটা একটা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।’

এর পর পরই কবে নাগাদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন হতে পারে—জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ডেট বা তারিখ আমি নির্ধারণ করে দিতে পারি না। কারণ, আলোচনার মাধ্যমে তাদের প্রত্যাবর্তন হবে।

আগামীকাল মঙ্গল ও বুধবার রাজধানীতে জলবায়ুবিষয়ক ঢাকা মিটিং অব দ্য গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপ্টেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিন্ডা হেইন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, বিশ্বব্যাংকের সিইও ক্রিস্টালিনা জর্জিওভাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা এ বৈঠকে অংশ নেবেন।

বৈঠক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জলবায়ুবিষয়ক প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলেও চুক্তি কার্যকরে কোনো সমস্যা হবে না উল্লেখ করে আবদুল মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ায় এই প্রোগ্রাম বাধাগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু থেমে নেই।’ এবারের ঢাকা বৈঠকের সুপারিশগুলো চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।