এখন দেখি ডান-বাম এক হয়ে গেছে : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন নিয়ে এখন দেখছি ডান-বাম এক হয়ে গেছে। আজ সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেখলাম গ্যাস নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। অনেক দিন কোনো হরতাল নেই। রাজনীতি শেখার জন্য হরতালের দরকার আছে। বহুদিন পর হরতাল পেলেন, পরিবেশের জন্য ভালো। গ্যাস নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। আন্দোলন করছে কারা? বাম আর ডান। এখন বাম আর ডান এক হয়ে গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার যখন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে পাইপ দিয়ে ভারতে গ্যাস নিতে গিয়েছে; তখন বিএনপি সরকার নিতে দেয়নি। এতে করে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছি। আমি যদি হতাম, তাহলে বলতাম তোমরা গ্যাস নাও, তবে আমাকে আমারটা দাও। তাহলে আমাদের গ্যাস আমদানি করার দরকার হতো না। দেশের কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে জনগণকে খেসারত দিতে হয়।

চীন সফরের ফলাফল নিয়ে আজ সোমবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সংবাদ সম্মেলনে চীন সফর নিয়ে লিখিত বক্তব্য পড়েন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

পাঁচ দিনের সফরে গত ১ জুলাই চীনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংসহ দেশটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি। রোহিঙ্গারা যাতে শিগগিরই তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে, সে জন্য এ সংকটের দ্রুত সমাধানের বিষয়ে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছে চীন।

ক্ষমতাসীন চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) জানিয়েছে, আপসে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য তারা মিয়ানমারের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।

প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা-সংক্রান্ত নয়টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে—রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার জন্য এলওসি (লেটার অব এক্সচেঞ্জ) এবং অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ, সংস্কৃতি এবং পর্যটন-সংক্রান্ত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক । এ ছাড়া চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের সঙ্গে দুটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।

চীন সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে নাগরিক সংবর্ধনা এবং চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেন। এ ছাড়া শেখ হাসিনা তিয়েনআনমেন স্কয়ারে হিরোস মেমোরিয়ালে চীনা বিপ্লবের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।