নাজমুল হুদার ঘুষের মামলা চার মাসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। পুরোনো ছবি : এনটিভি

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত চার মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার মামলা বাতিল চেয়ে নাজমুল হুদার করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা নিজেই শুনানি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

এ মামলাটি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিচারাধীন। এতে বিবাদী করা হয় দুদকের চেয়ারম্যান ও ঢাকার জেলা প্রশাসককে।

যমুনা বহুমুখী সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্গারেট ওয়ান লিমিটেড দায়িত্ব পায়। যোগাযোগমন্ত্রী থাকাকালে নাজমুল হুদা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করে তাঁর স্ত্রী সিগমা হুদার মালিকানাধীন খবরের অন্তরালে পত্রিকার ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে বলেন। ঘুষের টাকা না দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাতিল এবং কালো তালিকাভুক্ত করা হবে বলে হুমকি দেন তিনি। পরে প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকায় সম্মত হন নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা। ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত মার্গারেট ওয়ানের প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার চেকে ছয় লাখ টাকা জমা করা হয় সিগমা হুদার ব্যাংক হিসাবে।

২০০৮ সালের ১৮ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্যে লাভবান হওয়ার অভিযোগে মামলা করেন।