১০ বছর পর আগামীকাল শনিবার মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংগঠনের গঠনতন্ত্রে প্রতি তিন বছর পর পর জেলা সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও ১০ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ সম্মেলন। 
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, শহরের শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। 

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান, ‘সম্মেলনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। নেতাকর্মীদের সমাগম এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণ করতে প্রস্তুত জেলা আওয়ামী লীগ।’ 

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিয়াজান আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার দুই মেয়াদের মধ্যে বিভিন্ন নির্বাচন এবং বিরোধী জোটের আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবিলায় নেতাকর্মীরা ব্যস্ত থাকায় যথাসময়ে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। তবে এতে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের কোনো প্রভাব পড়েনি। এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দল আরো সুসংগঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন দোদুল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যাঁরা নেতৃত্বে আসবেন তাঁরা সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। 

এদিকে তৃণমূলসহ উপজেলা ও জেলাপর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মী এনটিভি অনলাইনকে অভিযোগ করেন, দল ক্ষমতায় থাকলে নেতাদের সাংগঠনিক দিকে তেমন খেয়াল থাকে না। বিরোধী দলে থাকলে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত থাকে। সম্মেলনও ঠিক সময়ে অনুষ্ঠিত হয়। তারপরও দীর্ঘদিন পর নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবি পূরণ হতে যাওয়ায় খুশি তারা।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল এনটিভিকে বলেন, ‘সিলেকশন নয়, ইলেকশনের মধ্য দিয়ে নেতা নির্বাচন করা গেলে যোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসবে।’

মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘যাঁদেরকে জেলা কমিটির নেতা নির্বাচন করলে দল সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে এবং সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে, তাঁদেরকেই নেতা হিসেবে দেখতে চাই।’

গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে। সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যেমন কর্মী-সমর্থকরা চাঙ্গা হবেন, তেমনি নতুন নেতৃত্বের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তরান্বিত হবে।’

২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জেলার তিনটি উপজেলার মধ্যে মুজিবনগর ও সদর উপজেলা কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। জেলা সম্মেলনের পর গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।