আগামী বছরই সুন্দরবন বিপদাপন্ন ঐতিহ্য তালিকায় চলে যেতে পারে
৫ জুলাই আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪৩তম সভায় সুন্দরবন নিয়ে সরকারকে যেসব পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন না করলে আগামী বছরই সুন্দরবন বিপদাপন্ন ঐতিহ্য তালিকায় চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি।
সোমবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা বলেন কমিটির নেতারা।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুল মতিন বলেন, আগেরবার দিয়েছিল দুই বছরের সময়, এবার দিয়েছে এক বছরের সময় এবং তারা বলেছে, একটি মনিটরিং মিশন আবার আসবে, সেটি এই বছরের মধ্যেই আসবে। তারা রিপোর্ট দেবে এবং আমাদের আশঙ্কা, আগামী ৪৪তম যে সভা হবে সেখানে আমাদের সরকার যদি সঠিকভাবে রিপোর্টিং না করে এবং কাজগুলো যদি শুরু না করে তাহলে হয়তো আমাদের জাতীয় লজ্জায় পড়তে হবে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যে পর্যবেক্ষণের কথা বলা হচ্ছে, এসইএ এবং ইআইএ। সেগুলো যদি ইতিবাচক হয়, আমাদের কিন্তু কোনো আপত্তি থাকবে না। যদি আমরা নিরুপণ করতে পারি যে, পরিবেশ ধ্বংস হবে না, সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না, উপকূল অঞ্চলের ক্ষতি হবে না, উন্নয়ন প্রকল্প আরো ১০টা হোক সেটাতে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। কিন্তু সেই জায়গাটা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। সেটি করার জন্য রামপালসহ যে প্রকল্পগুলো চলমান আছে সেগুলোকে রিচ করতে হবে।
২০১৭ সালে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি সুন্দরবন নিয়ে যেসব পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল তাই দ্রুত বাস্তবায়ন করে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বাকুর বৈঠকে এক বছরের সময় পেলেও আগামী বছর কার্যক্রমের অগ্রগতি ছাড়া সুন্দরবন ঝুঁকিপূর্ণ ঐতিহ্যের তালিকায় যেতে পারে বলেও মনে করেন সংবাদ সম্মেলনের বক্তারা।