গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন নিয়ে রিট খারিজ

Looks like you've blocked notifications!

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

এ বিষয়ে রিটকারীর আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ সাংবাদিকদের জানান, আদালত বলেছেন, রিটটি যথাযথভাবে আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি মর্মে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল হক টুটুল বলেন, যথাযথ আইন মেনেই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এখানে কোনো প্রকার আইন লঙ্ঘন করা হয়নি। আদালত আরো বলেছে, রিটটি যথাযথ হয়নি। এ কারণে রিট আবেদনটি খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।  

এর আগে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ গত ৪ জুলাই রিটটি দায়ের করেন। আবেদনে বলা হয়, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইনের ২২ ও ৩৪ ধারা লঙ্ঘন করে এ মূল্যবৃদ্ধি করেছে। এটা আইনের পরিপন্থী।

এর আগে গত ৩০ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। আবাসিক, বাণিজ্যিকসহ সব ধরনের গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। গড়ে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৩২ দশমিক ৮০ শতাংশ। মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত গত ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, রান্নাঘরে যাঁদের গ্যাসের চুলা একটি, তাঁরা এত দিন মাসে বিল দিতেন ৭৫০ টাকা। এখন থেকে গ্যাস বিল বাবদ মাসে তাঁদের ব্যয় হবে ৯২৫ টাকা। খরচ বেড়েছে ১৭৫ টাকা। যাঁদের বাসায় দুই চুলা, তাঁরা বিল দিতেন ৮০০ টাকা। এখন তাঁদের দিতে হবে ৯৭৫ টাকা। বাসাবাড়ির গ্যাসের পাশাপাশি যানবাহনে ব্যবহার করা সিএনজির দামও বেড়েছে। সিএনজির ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটারে দাম বেড়েছে তিন টাকা। ৪০ টাকার সিএনজি গ্যাসের দাম বেড়ে হয়েছে ৪৩ টাকা।

এদিকে গতকাল গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকার উচ্চমূল্যে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গ্যাসের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

সরকারপ্রধান বলেন, প্রতি ঘনমিটার এলএনজি আমদানিতে ৬১.১২ টাকা ব্যয় হয়। কিন্তু ব্যাপক ভর্তুকি দিয়ে তা প্রতি ঘনমিটার মাত্র ৯.৮ টাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পরও ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।