তিনজনকে কুপিয়ে খুন, গণপিটুনিতে ঘাতক নিহত

Looks like you've blocked notifications!

একটা দা নিয়ে লোকটা রওনা দেয়। সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কোপায়। তার দা-এর কোপে একে একে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। পরে ওই ব্যক্তিকে ধরে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। আর এতে নিহত হয় ঘাতক।

আজ বুধবার কুমিল্লার দেবিদ্বারে সুলতানপুর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। ঘাতকের নাম মোখলেসুর রহমান (৩৫)। সে একজন রিকশাচালক। তার কোপে নিহত হয়েছেন রাধানগর গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৪৫), তাঁর ছেলে আবু হানিফ (১২) ও একই বাড়ির নুরল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০)।

গ্রামবাসীর মারধরে নিহত হয়েছে মোখলেসুর রহমানও। 

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আনোয়ার বলেন, ‘আজ সাড়ে ১০টার দিকে আমি ইনফরমেশন পাই যে রাধানগর তালতলায় কোপাকুপির ঘটনা ঘটেছে। খবর পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। আসার পর দেখি মোখলেসুর রহমান দা দিয়ে আনু বেগম, নাজমা বেগম, হানিফসহ আরো কয়েকজনকে এলোপাতারি কোপ দেয়। ঘটনাস্থলে আনু, নাজমা ও হানিফ মারা যায়। পরে এলাকার লোকজন খবরটি পেয়ে জড়ো হয়ে মোখলেসুর রহমানকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলে। আরো দু-একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

ওসি জহিরুল আরো বলেন, ‘মোখলেসুরের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তার নাকি মানসিক সমস্যা ছিল। এতটুকুই আপাতত জানতে পেরেছি।’

এ প্রসঙ্গে সুলতানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি খবর শুনে দৌড়ে এসে দেখি লাশ পড়ে আছে। একটা দা এনে যাকে পেয়েছে তাকে কুপিয়েছে। ছেলে এবং মা দুজনকেই প্রথম হত্যা করে। তার এই অবস্থা দেখে পাবলিক তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে।’ তিনি আরো বলেন, ‘পূর্বে কোনো কারণ অবশ্যই আছে।’