রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জনবল বাড়ানো হবে : আইজিপি

Looks like you've blocked notifications!
আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : এনটিভি

বাংলাদেশে অবস্থানরত ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য বর্তমানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যে পরিমাণ সদস্য আছে তাকে অপ্রতুল বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি জানিয়েছেন, শরণার্থী শিবিরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জনবল বাড়ানো হবে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী তিনটি বাহিনীর প্রধান কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাংবাদিকদের একথা জানান পুলিশ মহাপরিদর্শক। তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে এসে এখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে গেলাম। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কিভাবে কাজ করতে হবে, ঢাকায় গিয়ে একটি পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিমানে করে কক্সবাজার পৌছান আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ও র‍্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন পুলিশের বিশেষ (গোয়েন্দা) শাখার প্রধান উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মীর শহীদুল ইসলাম ও পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক।

কক্সবাজার পৌঁছার পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন পর্যটন পুলিশের সম্মেলন কক্ষে একটি ব্রিফিংয়ে অংশ নেন তাঁরা। এখানে তিন বাহিনী থেকে স্থানীয় কর্মকর্তারা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে যান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী তিন বাহিনীর প্রধানরা। প্রথমে উখিয়া উপজেলার মধুরছড়া ৩ নম্বর শিবিরে যান। সেখানকার পুলিশ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তাঁরা। সেখান থেকে ১৭ নম্বর ক্যাম্পে গিয়ে ৩ বাহিনীর সদস্য, ক্যাম্প ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এতে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামশুদ্দোজা নয়ন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইন উপস্থিত ছিলেন। পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ প্রধান। রাতে তিন বাহিনীর প্রধান কক্সবাজারে ফিরে আসেন।

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের সবগুলো বিষয় সরেজমিন দেখা ও অবহিত হতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী তিন সংস্থার প্রধান রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন।