রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড

রাব্বির স্বীকারোক্তি, তৃতীয় দফায় রিমান্ডে টিকটক হৃদয়

Looks like you've blocked notifications!
বুধবার বিকেলে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে হাজির করা হয় রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সন্দেহভাজন অভিযুক্ত রাফিউল ইসলাম রাব্বিকে। এদিন এ মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়কেও আদালতে আনা হয়। ছবি : এনটিভি

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন অভিযুক্ত রাফিউল ইসলাম রাব্বি এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার বিকেলে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর কাছে এ স্বীকারোক্তি দেন রাব্বি। পরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে এ মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়কে তৃতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন একই আদালত।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে টিকটক হৃদয় ও রাব্বিকে আদালতে হাজির করলে রাব্বি রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এ ছাড়াও একই সঙ্গে হাজির করা টিকটক হৃদয়কে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদেরর জন্য তৃতীয় দফায় সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১ জুলাই সোমবার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১১ নম্বর আসামি মো. অলিউল্লাহ অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা তানভীর একই আদালতে স্বেচ্ছায় রিফাত শরীফ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর গত ৪ জুলাই এ মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসানও একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গত শুক্রবার একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়া ও তদন্তে বেরিয়ে আসা অভিযুক্ত মো. সাগর ও নাজমুল হাসান।

এদিকে এ মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার সকালে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রামদা উদ্ধার করে পুলিশ। আর নয়ন বন্ডের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পুলিশের হত্যা ও অস্ত্র আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় সাত দিন রিমান্ড শেষে পুলিশের দায়ের করা অস্ত্র মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে রয়েছেন রিফাত ফরাজী।

এ ছাড়াও এ মামলার সন্দেহভাজন অভিযুক্ত আরিয়ান শ্রাবন ও সাইমুন তিনদিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

গত ২৬ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে বরগুনা সরকারি কলেজ থেকে ফেরার পথে নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীসহ একদল যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়। তারা ধারালো দা দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। রিফাতের স্ত্রী আয়শা হামলাকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন; কিন্তু তাদের থামানো যায়নি। তারা রিফাত শরীফকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়।
এ হত্যার ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ পরদিন সকালে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় মামলা করেন।