সয়াবিন তেল, চক পাউডার দিয়ে তৈরি হতো দুধ

Looks like you've blocked notifications!
বুধবার রাতে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় নকল দুধের সরঞ্জামসহ আটক কারিগর সঞ্জয় ঘোষ। ছবি : এনটিভি

নিম্নমানের সয়াবিন তেল, দুধ তৈরির চক পাউডার, সোডা ও কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি হতো পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সঞ্জয় ঘোষের ‘খাঁটি দুধ’। কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি এই ‘খাঁটি দুধ’ দীর্ঘদিন ধরে মিল্ক ভিটার বিভিন্ন দুগ্ধ ব্যবস্থাপনা সমিতির কাছে সরবরাহ করে আসছিলেন সঞ্জয় ঘোষ।

এ ঘটনায় বুধবার রাত ১০টার দিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলার ছোট বিশাকোল গ্রাম থেকে নকল দুধ তৈরির সরঞ্জামসহ সঞ্জয় ঘোষ নামের ওই দুধ ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ আশরাফুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা, উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নুরুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাজেদুল রহমান সাজু প্রমুখ। আটক সঞ্জয় ঘোষ বেড়া উপজেলার মালদহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

ওসি মো. মাসুদ রানা জানান, বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ছয় লিটার নিম্নমানের সয়াবিন তেল, দুধ তৈরির চক পাউডার, সোডা ও দুটি ব্লেন্ডার মেশিনসহ কারিগর সঞ্জয় ঘোষকে আটক করে ইউএনওকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্তকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সঞ্জয় ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের সয়াবিন তেল, দুধ তৈরির চক পাউডার, সোডা ও কেমিক্যাল মিশিয়ে খাঁটি দুধ তৈরি করে মিল্ক ভিটার বিভিন্ন দুগ্ধ ব্যবস্থাপনা সমিতির কাছে সরবরাহ করে আসছিলেন। কয়েক মাস আগে ভাঙ্গুড়া উপজেলার ছোট বিশাকোল গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে গরুর নকল দুধ তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম জানান, রাসায়নিক মিশ্রিত এসব ভেজাল দুধ মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পেট ব্যথা ও ডায়রিয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানোর কারণে এসব দুধ খেয়ে কিডনি ও লিভার বিকল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।