নেত্রকোনায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

Looks like you've blocked notifications!
ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে থাকায় উপজেলা ও জেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ছবি : এনটিভি

ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার দুর্গাপুর, বারহাট্টা ও কলমাকান্দা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যার কবলে তিন উপজেলার তিন শতাধিক গ্রামে ৫০ হাজারের মতো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

এ ছাড়া দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকছে। বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে থাকায় উপজেলা ও জেলার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

গত সোমবার থেকে টানা চার দিনের মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাতে জেলার প্রধান নদী কংস, সোমেশ্বরী, ধনু ও উব্দাখালীতে পানি বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে।

বন্যায় সীমান্ত উপজেলা কলমাকান্দার আটটি ইউনিয়ন বড়খাপন, রংছাতি, লেঙ্গুরা, খারনৈ, নাজিরপুর, পোগলা, কৈলাটি ও কলমাকান্দা সদরসহ দুর্গাপুরের গাওকান্দিয়া, কুল্লাগড়া, বাকলজোড়া, কাকৈরগড়া ও বিরিশিরির আংশিক এলাকা এবং বারহাট্টার রায়পুর ও বাউসী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

তিন উপজেলায় ৫০ হাজারের মতো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। স্কুল, মাদ্রাসায় পানি ঢুকছে। কলমাকান্দার পাঁচগাও, লেঙ্গুরা, বড়খাপন, চারালকোনাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামীণ বাজার পানির নিচে রয়েছে।

এ ছাড়া বড়খাপন, চাঁনপুর, ধীতপুর, পাঁচকাঠা, পালপাড়া, কলেজ রোডসহ বেশ কয়েকটি গ্রামীণ পাকা সড়ক পানির নিচে থাকায় মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শতাধিক পুকুর ও মৎস্য খামারে পানি ঢুকে পড়ায় মাছ ভেসে গেছে। গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

দুর্গাপুরে বিরিশিরি ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ১৯৬টি পরিবার ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কের ইন্দ্রপুর এলাকায় সেতু ও সড়ক ঝুঁকিতে রয়েছে।

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক মঈন উল ইসলাম জানান, কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আপাতত ২০ টন জিআর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুই উপজেলায় ৬০০ প্যাকেট শুকনা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির জন্য বলা হয়েছে।