চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ

Looks like you've blocked notifications!
চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি : এনটিভি

চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলায় চকলেটের লোভ দেখিয়ে ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবদুল মালেক নামের পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি পলাতক।

গত বুধবার দুপুরে উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিশুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ধর্ষণের শিকার শিশুটি গোপীনাথপুর গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালকের মেয়ে। গত বুধবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলছিল সে। এ সময় প্রতিবেশী আবদুল মালেক ওই শিশুকে চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।

ওই শিশুটির মা জানান, ধর্ষণের কারণে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শিশুটি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর সে তার মামির কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয়। সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত আবদুল মালেক।

এ ঘটনায় শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে গতকাল দিবাগত রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি কনসালট্যান্ট আকলিমা পারভিন বলেন, ‘আমাদের এখানে রাত ৮টা ৫ মিনিটে একটা বাচ্চা ভর্তি হয়েছে। আমার তত্ত্বাবধানে আছে। আমি সোয়াপ নিয়েছি। মেডিকেল বোর্ড তাকে পরীক্ষা করছে। পরীক্ষা করে যথাসময়ে আমরা রিপোর্ট দেব। তার একটু হালকা ব্যথা রয়েছে। আমরা সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিচ্ছি।’

খবর পেয়ে রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে যান পুলিশ সুপার (এসপি) মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) আবুল বাশার ও চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু।