গাজীপুরে কিশোর গ্যাং গ্রুপের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
গাজীপুরের টঙ্গীতে নবম শ্রেণির ছাত্র শুভ আহমেদ (১৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মৃদুল হাসান পাপ্পুসহ (১৭) কিশোর গ্যাং গ্রুপের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। এ সময় হত্যার কাজে ব্যবহৃত ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া কিশোররা হচ্ছে টঙ্গী পাগার এলাকার কামাল পাঠানের বাড়ির ভাড়াটে মৃদুল হাসান পাপ্পু (১৭), একই এলাকার সাব্বির আহমেদ (১৬), রাব্বু হোসেন রিয়াদ (১৬) ও নূর মোহাম্মদ রনি (১৬)।
র্যাব-১-এর গাজীপুরের কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ৭ জুলাই গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন বিসিক ফকির মার্কেট পাগার মদিনাপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় পাগার ফিউচার ম্যাপ স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র শুভ আহমেদকে বুকে, পিঠে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করা হয়। নিহত শুভ আহমেদ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান।
ঘটনার পর দিন নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, টঙ্গী ও পার্শ্ববর্তী উত্তরা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বেশ কিছু কিশোর গ্যাং গ্রুপ বিদ্যমান। এসব গ্যাং গ্রুপ তাদের দেওয়া বিভিন্ন নামে পরিচিত। সাধারণত উঠতি বয়সের কিশোররা এসব গ্যাং কালচারে জড়িত। অভিভাবকের অবহেলা ও পশ্চিমা কালচারের অনুকরণে এসব গ্যাং গ্রুপ গড়ে উঠেছে। এসব গ্যাং গ্রুপের মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। হত্যার এক দিন আগে ভিকটিমের সঙ্গে স্থানীয় নবগঠিত একটি গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়।
নিহত স্কুলছাত্র শুভ আহমেদের বাবা-মা উভয়ই স্থানীয় গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। ঘটনার দিন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে ভুক্তভোগী শুভ তার মায়ের কাছ থেকে চুল কাটার জন্য টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। গভীর রাতেও ছেলে বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরে টঙ্গী পাগার মদিনা পাড়ার জনৈক স্বপনের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তর পাশে ঝোপের মধ্যে মরদেহ দেখে স্থানীয়রা টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশে খবর দেন। পরে থানায় গিয়ে স্বজনরা শুভর মরদেহ শনাক্ত করে।