ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। ছবি : এনটিভি

ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

আজ রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে পুলিশ প্রধান, আনসার প্রধান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী মাসে ঈদুল আজহা পালিত হবে। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী থেকে গ্রামের উদ্দেশে রওনা হবেন চাকরি ও ব্যবসার কারণে ঢাকায় বসবাসকারীরা। 

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু পরিবহন মালিক চাচ্ছেন ভাড়া যাতে বেশি আদায় করা না হয়। কিন্তু কিছু অসাধু লোক ভাড়া বাড়ানোর সাথে জড়িত। মালিক প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হবে না। কেউ অতিরিক্ত ভাড়া নিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে যাতে যানজট তৈরি না হয় সেজন্য আগামী ৮ আগস্ট থেকে পর্যায়ক্রমে গার্মেন্টস ছুটি দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিজেএমইএ ও বিকেএমইএ বিষয়টি সমন্বয় করবে। আমরা বিশেষভাবে মনিটরিং করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করার ব্যাপারেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ব্যবসার স্বার্থে আগামী ৯ ও ১০ আগস্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় ব্যাংক খোলা রাখার বিষয়ে আমরা অনুরোধ করেছি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাস, ট্রেন এবং নৌপথে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিতে না পারে সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে। সড়কপথে ফায়ার সার্ভিসের টিম থাকবে। কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে তারা কাজ করবেন।’

ঈদকে সামনে রেখে কোথাও কোনো নাশকতার আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশবাসী যাতে ঈদ নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারে সেজন্য সারা দেশে নিরাপত্তা পর্যাপ্ত থাকবে। বিশেষ করে ডিপ্লোমেটিক এলাকায় বেশি নিরাপত্তা থাকবে। ঈদকে সামনে রেখে কোথাও কোনো নাশকতার আশংকা নেই। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ থাকবে।’

পশুর হাট বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রাস্তার পাশে কোনো প্রকার পশুর হাট বসতে পারবে না। পশুর হাটে বা রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা থাকবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু বন্যা আসছে তাই নির্দিষ্ট স্থানে হাট বসতে না পারলে ডিসি বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। হাটে অস্থায়ী র‌্যাব-পুলিশ থাকবে, সিসিটিভি ক্যামেরাও রাখতে হবে। টাকা পরিবহনে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়া যাবে। পশুর হাটে দৃশ্যমানভাবে হাসিলের চার্ট টাঙিয়ে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘গরুর হাটে সন্ধ্যাকালীন টাকা লেনদেনে বুথ খোলা রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করা হয়েছে। তারা সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া রাস্তায় পশুবাহী গাড়ি বা লোড গাড়ি থামানো হবে না। নৌপথেও কোনো ট্রাক থামানো হবে না। নির্দিষ্ট স্থান থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রাকগুলোর সামনে তাদের গন্তব্য লিখে রাখতে হবে। তারা নির্দিষ্ট স্থানে গিয়েই থামবে। ফলে মাঝপথে থামিয়ে চাঁদাবাজির সুযোগ নেই। কেউ গাড়ি আটকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।’

চামড়া পাচারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় চামড়া পাচাররোধে নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।’