অজ্ঞান ও মলম পার্টির সাত সন্দেহভাজন আটক

Looks like you've blocked notifications!
অজ্ঞান ও মলম পার্টির সক্রিয় সদস্য সন্দেহে রাজধানী থেকে সাতজনকে আটক করেছেন র‍্যাব ১-এর সদস্যরা। ছবি : র‍্যাব

অজ্ঞান ও মলম পার্টির সক্রিয় সদস্য সন্দেহে রাজধানী থেকে সাতজনকে আটক করেছেন র‍্যাব-১-এর সদস্যরা। গতকাল সোমবার বিকেল ৬টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আজ মঙ্গলবার র‍্যাব ১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন মোশারফ হোসেন মাহিন (২৪), মো. আমিনুল ইসলাম (২০), মো. চাঁদ হাওলাদার (১৯), মো. রবিন মিয়া (২৫), মো. বাবু (৩০), মো. রফিক (২০) ও সচিত দাস (১৯)।

এ সময় আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে তিনটি মলম, পাঁচটি স্পেয়ার ব্লেড, তিনটি মোবাইল ফোন ও ৭৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমানবন্দরের প্রবেশ মুখের গোল চত্বরের উত্তর-পশ্চিম পাশের ফুটওভার ব্রিজের নিচে অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ অজ্ঞান ও মলম পার্টি চক্রের সক্রিয় সাত সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, হজ কার্যক্রম-২০১৯ উপলক্ষে স্থাপিত রাজধানীর আশকোনার হজ ক্যাম্পের অভিযোগ কেন্দ্রে কয়েকজন হজযাত্রী তাঁদের মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা এবং মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ছিনতাই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে র‍্যাব-১ এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটককৃতরা সংঘবদ্ধ অজ্ঞান ও মলম পার্টি চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দর এলাকায় আগত লোকজন, বাসযাত্রী ও পথচারীদের কৌশলে বোকা বানিয়ে তাঁদের চোখে মলম প্রয়োগ করে তাদের মোবাইল ফোনসহ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে যায়।

ঘটনার সময় কেউ দেখে ফেললে তাদেরও ভয় দেখানোর জন্য চক্রটির কাছে থাকা স্পেয়ার ব্লেড দিয়ে শারীরিকভাবে আঘাত করে থাকে।

আটককৃতরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। চক্রটি গতকাল বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের আগমনকে লক্ষ্য করে সেখানে অবস্থান করছিল। হজ যাত্রীসহ অন্যান্য যাত্রীরা ফুটওভার ব্রিজ পার হওয়ার সময় চক্রটি তাঁদের ব্যাগসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে নিয়ে যায়। চক্রটির সদস্যরা শসা, বরই, আচার ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্যে চেতনানাশক রাসায়নিক তরল পদার্থ মিশিয়ে সাধারণ মানুষকে অজ্ঞান করে তাদের সর্বস্ব লুটে নেয়।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।