খনি দুর্নীতি মামলা

‘খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে শুনানি আইনসম্মত নয়’

Looks like you've blocked notifications!

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ রুহুল আমিন এই দিন নির্ধারণ করেন।

আদালতে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল আজ। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় এবং হাসপাতালে ভর্তি থাকায় আদালতে হাজির করেনি পুলিশ। তাঁর পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন।

আইনজীবী শুনানিতে বলেন, ‘মাননীয় আদালত, আজকে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আছে। আজকে খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁকে আদালতে হাজির করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। অতএব, কাস্টডিতে থাকা খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করা হয়নি। তাঁর অনুপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি আইনসম্মত হয় না।’ শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন—সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে ওই বছরের ৫ অক্টোবর পুলিশ তদন্ত করে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।