‘মহাসংগ্রাম’-এর পরিচালক জীবন সংগ্রামে পরাজিত
‘মহাসংগ্রাম’ নির্মাণ করে ২০০৫ সালে জীবন রহমান শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে ভাসানী স্মৃতি পুরস্কার পান। ৯০ দশকের গোঁড়ার দিকে চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন তিনি। প্রথম চলচ্চিত্র ‘গহর বাদশা বানেছা পরী’ সুপারহিট হয়। সাড়া ফেলেন চলচ্চিত্র জগতে।
তবে জীবন রহমান বর্তমানে জীবন সংগ্রামে পরাজিত। ডায়াবেটিকস, কিডনি, লিভার ও ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দির্ঘদিন ধরেই শয্যাশায়ী। একমাত্র জামাতার বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর এলাকার কামারকোনা মহল্লায় অবস্থান করছেন। বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
জীবন রহমান বলেন, ‘২০১৩ সালে ডায়াবেটিক, লিভার ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হই। ছয়-সাত মাস আগে ব্রেইনস্ট্রোক হয়। মূলত তখন থেকেই শয্যাশায়ী আমি। সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করে ৩৫-৪০ লাখ টাকা খরচ করেছি। কিন্তু শারীরিক অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। পরিবারের সবাই হাঁপিয়ে ওঠেছে। একমাত্র মেয়ের বাড়ি কটিয়াদীতে আশ্রয় নিয়েছি। চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য আমার বা পরিবারের আর নেই।’
সুচিকিৎসার জন্য সরকার বা চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি এগিয়ে আসলে হয়তো বেচে যেতে পারেন তিনি। সুস্থতার জন্য তিনি দেশবাসী ও চলচ্চিত্র জগতের সব কলাকুশলীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
৯০-এর দশকের শেষ দিকে চলচ্চিত্র জগত যখন অশ্লীলতায় নিমজ্জিত। দর্শক যখন চলচ্চিত্র বা সিনেমা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দেশের চলচ্চিত্র জগতে যখন ধস নেমে আসে, ঠিক ওই সময় তিনি সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র ‘মহা সংগ্রাম’ নির্মাণ করেন। এই ছবির জন্য তিনি ২০০৫ সালে ভাসানী স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন।
‘মহা সংগ্রাম’ ছাড়াও তিনি নির্মাণ করেন ‘হুলিয়া’, ‘আজকের সন্ত্রাসী’, ‘প্রেম যুদ্ধ’, ‘আশার প্রদীপ’, ‘আলী কেন গোলাম’, ‘মহাসংগ্রাম’ এবং অ্যাকশন ছবি ‘উত্তর-দক্ষিণ’-এর মতো ব্যবসাসফল ছবি নির্মাণ করে চলচ্চিত্র জগতে খ্যাতি অর্জন করেন জীবন রহমান।