সুশীল সমাজের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চায় জাতিসংঘ
বাংলাদেশে সুশীল সমাজের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে জাতিসংঘ। একই সাথে সংস্থাটি বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছে।
গতকাল শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে নিয়মিত মধ্যাহ্ণ ব্রিফ্রিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক।
ব্রিফিংয়ে অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক ম্যাথু রাসেল লি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করব। সেখানে অভিজিৎ রায় নামে একজন জনপ্রিয় ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং আমি লক্ষ করলাম, জাতিসংঘ, সিপিজে (সেন্টার টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট) ও অন্যরা সঙ্গত কারণেই এর নিন্দা জানিয়েছে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘ কী বলবে? আমার সহকর্মী যিনি এখানে বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন করেছিলেন, আমি গতকাল জানার চেষ্টা করেছিলাম যে, বাংলাদেশ সরকার এবং এখানকার বাংলাদেশ মিশন ওই সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন আছে কি না তা অনুসন্ধান করেছে অথবা তিনি যেন প্রশ্ন করতে না পারেন সে চেষ্টাও করা হয়েছে। আমি জানতে চাই, এ ধরনের অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের অবস্থান কী?’
জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘জাতিসংঘের অবস্থান হলো, কেউ যদি অ্যাক্রিডিটেশনের শর্ত পূরণ করে, তবে তাঁদের এই কক্ষে স্বাগত এবং তাঁরা যেকোনো ধরনের প্রশ্নও করতে পারেন। তাঁদের প্রশ্নের ভূমিকা খুব বেশি বড় হলে আমি হয়তো থামিয়ে দিতে পারি, কিন্তু এটা শুধু আমার পদের বিশেষ ক্ষমতা মাত্র।’
স্টিফান ডুজারিক আরো বলেন, ‘বিষয়টা হলো, যখন তাঁরা এই কক্ষে থাকেন, তাঁদের যেকোনো ধরনের প্রশ্ন করার অনুমতি রয়েছে। ঠিক আছে? আর ব্লগারের ওপর হামলার বিষয়ে আমাদের এখানে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন। তারা আরো বলেছেন যে, বাংলাদেশে সুশীল সমাজের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য ক্ষেত্র তৈরি করার বিষয়টাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’