নারায়ণগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবক নিহত

Looks like you've blocked notifications!
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। এতে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। ছবি : এনটিভি

নারায়ণগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় প্লে গ্রুপের এক শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। গণপিটুনিতে নিহত যুবকের নামপরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে দুপুরে মিজমিজি এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে মারধর করেছে এলাকাবাসী।

মিজমিজি এলাকার আইডিয়াল ইসলামিক স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক সাঈদ হায়দার আহমেদ জানান, আজ শনিবার সকাল ৮টায় স্কুলের প্লে গ্রুপের এক শিক্ষার্থীকে এক যুবক জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তিনি স্কুলের সামনে একটি ফার্মেসিতে বসেছিলেন। শিক্ষার্থী তাঁকে দেখে স্যার স্যার বলে চিৎকার করলে ওই যুবক নিজের মেয়ে বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু তিনি ওই শিক্ষার্থী ও তার বাবাকে চেনেন বলে ওই যুবককে দাঁড়াতে বলেন। কিন্তু যুবক একটি রিকশা নিয়ে সটকে পড়ার চেষ্টা করে। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাকে ধরে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে দুপুরে মিজমিজিতে ছেলেধরা সন্দেহে আসমা আক্তার নামের এক নারীকে আটক করে মারধর করে এলাকাবাসী। ওই নারী স্থানীয় ইতালি প্রবাসী বিল্লালের বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেখানেও তাঁকে মারপিট করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নারীকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসী। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে আসমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্র সাহা বলেন, ছেলেধরা গুজবে এমন ঘটনা ঘটছে। সিদ্ধিরগঞ্জে গণপিটুনিতে একজন নিহত ও এক নারী আহত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।