রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ

প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার সুমনের মামলা খারিজ

Looks like you've blocked notifications!

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে প্রিয়া সাহার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যারিস্টার সায়্যেদুল হক সুমনের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা খারিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ রোববার বিকেল ৩টায় ঢাকার মহানগর হাকিম জিয়াউল হাসান এ আদেশ দেন। এর আগে আজ সকালে ব্যারিস্টার সুমন আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক তাঁর জবাননবন্দি শুনে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

এ ছাড়া প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমানের ঢাকা আইনজীবী সমিতির (বার) নির্বাহী সদস্য ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে অরেকটি মামলাটি করেন। তবে সে মামলার এখনো আদেশ দেওয়া হয়নি।

মামলার আরজি থেকে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই প্রিয়া বালা বিশ্বাস ওরফে প্রিয়া সাহা বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপ্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের সংঘালঘু নির্যাতন নিয়ে বক্তব্য দেন। সে বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করেন বাদী।

আরজিতে বলা হয়, আসামি প্রিয়া সাহার এ বক্তব্যের মাধ্যমে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদ তৈরি হয়। যাতে দেশকে অস্থিতিশীল ও বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। তাই আসামির বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

কী বলেছিলেন প্রিয়া সাহা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে কথা বলেন। এতে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে এক নারী ট্রাম্পকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। এখানে (বাংলাদেশে) প্রায় ৩৭ মিলিয়ন (তিন কোটি ৭০ লাখ) হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ডিসঅ্যাপেয়ার (নিখোঁজ) হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। এখনো সেখানে (বাংলাদেশে) ১৮ মিলিয়ন (এক কোটি ৮০ লাখ) সংখ্যালঘু মানুষ রয়েছে। আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। শুধু আমাদের (বাংলাদেশে) থাকতে সাহায্য করুন। আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমার জমি কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু কোনো বিচার হয়নি।’

এ সময় ট্রাম্প জানতে চান, ‘কারা জমি দখল করেছে? কারা বাড়ি দখল করেছে?’ জবাবে ওই নারী বলেন, ‘মুসলিম মৌলবাদী গ্রুপ এগুলো করছে। তারা সব সময় পলিটিক্যাল শেল্টার (রাজনৈতিক ছত্রছায়া) পায়।’

হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটের বিবৃতিতে বাংলাদেশি ওই নারীকে মিসেস সাহা পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জানা যায়, ওই নারীর নাম প্রিয়া সাহা।

প্রিয়া সাহা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি ‘দলিত কণ্ঠ’নামের একটি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।