ভাই-ভাতিজার পর আ.লীগ নেতা নজরুলকেও হত্যা

Looks like you've blocked notifications!
আজ সোমবার দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত সাতক্ষীরার আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলামের লাশ ঘিরে স্বজনদের আহাজারি। ছবি : এনটিভি

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কদমতলা এলাকায় আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নজরুল ইসলামকে (৫০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এর আগে ২০১৩ সালে তাঁর বড় ভাই ও ২০১৭ সালে এক ভাতিজাকে খুন করে দুর্বৃত্তরা।

সাতক্ষীরা সদর থানা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ আজ বলেন, ‘বেলা ১১টায় নজরুল ইসলামের লাশ শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কদমতলার হাজামপাড়ায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।’

‘নজরুল ইসলামের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে,’ যোগ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, নজরুল ইসলাম বাজার করার জন্য নিজের বাড়ি কুচপুকুর থেকে মোটরসাইকেলে করে কদমতলায় গিয়েছিলেন। বাজার নিয়ে ফেরার পথে ইটভাটার পাশ থেকে কে বা কারা তাঁর পেছন থেকে দুটি গুলি করে।

‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোটরসাইকেল চালিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন নজরুল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাজামপাড়া এলাকায় এসে লুটিয়ে পড়েন তিনি।’

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে হাবিবুর রহমান আরো বলেন, ‘ঘাতকরা মোটরসাইকেলে করে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।’

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নজরুল ইসলামের পরিবারের ওপর ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট নয়বার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর নজরুলের বড় ভাই সিরাজুল ইসলামকে ও ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সিরাজুল ইসলামের ছেলে যুবলীগ নেতা রাসেল কবিরকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

এসব হামলায় নজরুল ইসলাম নিজে তিনবার এবং তাঁর বোন শাহানা খাতুন, শাহানার স্বামী জাহান আলী, নজরুলের ভগ্নিপতি কাওসার আলী, ভাগ্নে সিমল, আত্মীয় ইউসুফ আলী আহত হন।  এসব হামলার পর নজরুল ইসলাম নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘদিন সাতক্ষীরা থানায় রাত্রিযাপন করতেন।

এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা নজরুলকে গুলি করে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম। তাঁরা অবিলম্বে ঘাতকদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।