১১ লাখ টাকার ‘বাহাদুর’কে দেখতে ভিড়

Looks like you've blocked notifications!
পাবনার সুজানগর পৌর এলাকার ভবানীপুরে আনোয়ার হোসেন মোল্লার বাড়ির গরু। নাম রাখা হয়েছে বাহাদুর। ছবি : এনটিভি

শখ করে গরুর নাম রেখেছিলেন ‘বাহাদুর’। এখন বাড়ির সবাই গরুটিকে এই নামেই ডাকে। এদিকে কোরবানি ঈদের আগ মুহূর্তে বাহাদুর নাম ছড়িয়ে গেছে গ্রাম ছাড়িয়ে পাবনার সুজানগর উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলায়। এখন প্রতিদিনই বাহাদুরকে দেখতে সুজানগরের পৌর এলাকার ভবানীপুরে গরু ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মোল্লার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে শত শত মানুষ। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এবার বাজারে তোলা হবে বাহাদুরকে। মালিক আনোয়ার হোসেন মোল্লা এই গরুর দাম হাঁকিয়েছেন ১১ লাখ টাকা। সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছেন, এই দামে বেচতে পারলে ক্রেতাকে দেওয়া হবে বিশেষ পুরস্কার।

এদিকে ১১ লাখ টাকা দামের বাহাদুরকে দেখতে আসা উৎসুক জনতার ভিড় বাড়ছে প্রতিদিনই। বাহাদুরকে দেখতে আসা মানুষের চোখে-মুখেও ফুটে উঠছে বিস্ময়। এমনই একজন পৌর এলাকার রফিকুল ইসলাম তুষার  বলেন, লোকমুখে ১১ লাখ টাকার গরুর কথা শুনে দেখতে এসেছি। এতবড় গরু জীবনে প্রথম দেখলাম।

পাবনা সদর উপজেলার তারাবাড়ীয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, পাঁচ বছর আগে দুই লাখ টাকার একটা ষাঁড় দেখেছিলাম। ১১ লাখ টাকা গরুর দাম! এমন কথা শুনেই দেখতে এলাম। এমন গরুর আসলেও কখনো দেখিনি। বাহাদুরকে ১১ লাখ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দেলোয়ার হোসেন আরো বলেন, মানুষ দাম দেখবে না, চেহারা দেখে এই গরু কিনবে।

গরুর মালিক আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “নিজ খামারের প্রায় দুই বছর সাত মাস আগে ‘ফিজিয়াম’ (অস্ট্রোলিয়া) জাতের এই গরুটা খামারে জন্ম নেয়। শখ করে বড় করে ওর নাম দিয়েছিলাম ‘বাহাদুর’। গরুটির দৈর্ঘ্য প্রায় আট ফুট ও উচ্চতা ছয় ফুট। গায়ে প্রায় ২২ মণ মাংস আছে।

আনোয়ার বলেন, গরুর দাম চাচ্ছি ১১ লাখ টাকা। এই দামে গরু বিক্রি করতে পারলে ক্রেতাকে খুশি হয়ে বিশেষ উপহার দেব। তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো পরামর্শ ছাড়াই গরুটা আমি পুষেছি। ছয় কাঠা জমিতে ঘাস লাগানো আছে। সেই ঘাস, কুমড়া খৈল ও ভুষি খাইয়ে গরু এত বড় করেছি।

এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘পৌর শহরের ভবানীপুর এলাকায় একটা বড় গরু আছে শুনেছি। কিন্তু আমি সেই গরু দেখিনি, গরুটি দেখতে যাব ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করব।’