ধর্ষণের অভিযোগে খুবি ছাত্রের গলায় জুতার মালার ছবি ভাইরাল, অবশেষে বহিষ্কার

Looks like you've blocked notifications!
ধর্ষণের অভিযোগে গলায় জুতার মালা এবং মুখে কালি দেওয়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রিন্ট মেকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পাপ্পু কুমার মন্ডল। ছবি : সংগৃহীত

ধর্ষণের অভিযোগে গলায় জুতার মালা ও মুখে কালি পরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক শিক্ষার্থীর ছবি ভাইরাল হওয়ার পর তাকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আতিয়ার রহমানের দেওয়া এক বিবৃতিতে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র পাপ্পু কুমার মন্ডলকে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তদন্ত শেষ পর্যায়ে বলেও জানানো হয়েছে।

আতিয়ার রহমান জানান, ঘটনাটি গত ৩ জুলাই রাতের। চারুকলা অনুষদের প্রিন্ট মেকিং বিভাগের এই ছাত্র পাপ্পু কুমার মন্ডল তার গৃহছাত্রী এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত একটি কলেজের শিক্ষার্থীকে প্রদর্শনী দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে খুবি ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে। প্রর্দশনীর পর লাইব্রেরির পাশে নিয়ে ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। এবং পরে ঘটনাস্থলে মেয়েটিকে ফেলে তিনি হলে চলে যান। রাতে অন্য ছাত্ররা মেয়েটিকে বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখে মেয়েদের হলে রাতে থাকতে দেন এবং পরদিন সকালে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারের কাছে তাকে হস্তান্তর করে। এ সময় ছাত্রীটি লিখিতভাবে তার গৃহশিক্ষক এবং খুবির ছাত্র পাপ্পু কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করে।

এ অভিযোগ তদন্তে অধ্যাপক হোসনে আরার নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এবং তার রিপোর্ট দুই-এক দিনের মধ্যে দাখিল করা হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে ৩ জুলাই ঘটনার রাতে অন্য ছাত্ররা মেয়েটির কাছ থেকে ধর্ষকের নাম পরিচয় শুনে খুবি ছাত্র পাপ্পু কুমার মন্ডলের মুখে কালি এবং গলায় জুতার মালা দিয়ে হলে অন্য ছাত্রদের প্রদর্শন করে। এই কালি ও গলায় জুতার মালাযুক্ত ছবি কে বা কারা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। সেখানে বলা হয়, খুবি চেতনা ৭১, এবং বঙ্গবন্ধু পাঠক ফোরামের নেতা হওয়ায় পাপ্পু কুমার মন্ডল ধর্ষণ করলেও তার বিরুদ্ধে ছাত্ররা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফেসবুকের সূত্র ধরে কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রচারের পর মঙ্গলবার খুবি প্রশাসনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’