গণপিটুনি এড়াতে ভিক্ষুকরা পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখছেন

Looks like you've blocked notifications!
সাতক্ষীরায় অনাকাঙ্ক্ষিত গণপিটুনি এড়াতে স্বেচ্ছাপ্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে শুরু করেছেন অনেক ভিক্ষুক। ছবি : এনটিভি

সাতক্ষীরায় অনাকাঙ্ক্ষিত গণপিটুনি এড়াতে ভিক্ষুকরা স্বেচ্ছাপ্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিজেদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সঙ্গে রাখতে শুরু করেছেন। অনেকে, এমনকি পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছ থেকে নাগরিক সনদ ও বাড়তি পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে সঙ্গে রাখছেন।

শুধু তাই নয়, গ্রাম থেকে শহরে কিংবা শহর থেকে গ্রামে নিয়মিত যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠী অনেকেই সঙ্গে রাখার চেষ্টা করছেন পরিচয়পত্র। অনেকের কাছে দেখা গেছে স্মার্টকার্ডও।

আকলিমা বেগম দীর্ঘদিন ধরেই ভিক্ষাবৃত্তি করেন। তিনিও সঙ্গে রাখছেন নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাপ বাঁচতি গেলি কার্ড রাখতি পারলি ভালো। শুনতিছি নাই পিটায় মারতিছে। যেহানে যাই কার্ড নিয়ে যাতিছি।’

এদিকে, ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে কাউকে গণপিটুনি দেওয়া থেকে মানুষকে বিরত রাখতে এবং সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা প্রচার চালাচ্ছে সাতক্ষীরা পুলিশ। মাইকিং করে বলা হচ্ছে, ‘গণপিটুনি নয়, কাউকে সন্দেহ হলে পুলিশে খবর দিন। নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না।’ এ ছাড়া বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন স্কুলে যাতায়াতকারী শিশু ও অভিভাবকদের সচেতন করে তোলার কাজও চলছে।’

সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ বলেন, ‘জেলার সব থানা পুলিশের মাধ্যমে মাইকিং শুরু করা হয়েছে। কারো গতিবিধি সন্দেহজনক হলে নিকটস্থ পুলিশকে খবর দিতে বলা হয়েছে। মোটেও নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া যাবে না।’

‘আমরা স্কুল-কলেজে গিয়ে ক্লাস নিতে শুরু করেছি। ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন করে তোলা হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বিশেষ বিশেষ সময়ে পুলিশ নজরদারি করছে। স্থানীয়ভাবে প্রচারপত্র প্রকাশ, মসজিদে মুসল্লিদের সচেতন করে তোলা, স্থানীয় পত্র-পত্রিকা, ফেসবুকে প্রচার ও স্থানীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলে এ বিষয়ে প্রচার চলছে। গুজব ছড়িয়ে পড়লেও সাতক্ষীরায় এখন পর্যন্ত কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি।’