ঈদে যে কারণে শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা রেলমন্ত্রীর

Looks like you've blocked notifications!
আজ সোমবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রি প্রত্যক্ষ করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ছবি : ফোকাস বাংলা

আসন্ন ঈদুল আজহায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

আজ সোমবার দুপুরের দিকে প্রথম দিনের মতো অগ্রিম ট্রেনের টিকেট বিক্রি ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী। 

গত ঈদুল ফিতরে বেশ কিছু ট্রেন শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। আসন্ন ঈদুল আজহাতেও তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বন্যার কারণে দেশের অনেক এলাকাতেই রেললাইন পানির নিচে রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে উত্তরবঙ্গের গাইবান্ধার কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তবে কোরবানির আগে আগে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট বিক্রি নিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। সার্ভার ডাউন, সাইটে ঢুকতে না পারা ছাড়াও অ্যাপবিষয়ক বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।

সাংবাদিকরা এ প্রসঙ্গে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ হাজার টিকেট বিক্রি হবে। আজ সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই অ্যাপে ছয় হাজারের অধিক টিকেট বিক্রি হয়েছে। সারা দিনে বাকি টিকেট বিক্রি না হলে সেগুলো কাউন্টারে দিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে কমলাপুর রেলস্টেশনের যাত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন রেলমন্ত্রী।

ঈদুল ফিতরের মতো এবারও ভিড় কমাতে কমলাপুর এলাকাসহ পাঁচটি এলাকায় টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। অর্ধেক টিকেট কাউন্টার থেকে এবং বাকি অর্ধেক অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।

আজ সোমবার দেওয়া হচ্ছে ৭ আগস্টের টিকেট। আগামীকাল মঙ্গলবার দেওয়া হবে ৮ আগস্টের টিকেট। এ ছাড়া ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগস্ট ১০ আগস্টের এবং ২ আগস্ট পাওয়া যাবে ১১ আগস্টের টিকেট।

এ ছাড়া ফিরতি টিকেট ৫ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত দেওয়া হবে বলে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ সময় মন্ত্রী আরো জানান, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ চারটি টিকেট কিনতে পারবেন এবং ঈদের অগ্রিম টিকেট ফেরত নেওয়া হবে না।

রেলকর্তৃপক্ষ জানায়, এবারে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে দেওয়া হবে যমুনা সেতু হয়ে চলা সব ট্রেনের অগ্রিম টিকেট। বিমানবন্দর স্টেশন থেকে দেওয়া হবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকেট।

তেজগাঁও স্টেশন থেকে দেওয়া হবে ময়মনসিংহ জামালপুরগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকেট। বনানী স্টেশন থেকে দেওয়া হবে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট। ফুলবাড়িয়া (পুরাতন রেলভবন) থেকে দেওয়া হবে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকেট।

কমলাপুর থেকে দেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গের টিকেট। এখান থেকে রাজশাহীর বনলতা এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস ও সিল্ক সিটি, খুলনার সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস ও ঈদ স্পেশাল, পঞ্চগড়গামী দ্রুতগামী এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের টিকেট দেওয়া হবে। বেনাপোলের টিকেটও এখান থেকে দেওয়া হবে। পাওয়া যাবে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেসের টিকেট। এ ছাড়া রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট ঈদ স্পেশালের টিকেট পাওয়া যাবে এখানে। সিরাগঞ্জের টিকেটও এখানে পাওয়া যাবে। মোট ১৬টি ট্রেনের টিকেট আজ দেওয়া হবে। এর টিকেট সংখ্যা ১৪ হাজার ৯৫। এর মধ্যে অনলাইনে কাটা যাবে নয় হাজার ৪৪৪টি টিকেট, বাকি টিকেট বিক্রি হবে কাউন্টার থেকে।