ধর্ষণ মামলায় জাপা নেতা লোটনের আগাম জামিন

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন। ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটনের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। এঁদের মধ্যে মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, মামুন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।

আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আদালত আলমগীর সিকদার লোটনকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন।

গত ১০ জুলাই ৩২ বছর বয়সী এক নারী লেখক ঢাকার এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের মামলা করেন। আদালত ওই নারীর জবানবন্দি নেওয়ার পর অভিযোগের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। গতকাল ২৮ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।

মামলার আর্জিতে বলা হয়, বাদী একজন লেখিকা। আসামি একটি পাবলিকেশন্সের  মালিক। সেই সুবাদে পূর্ব পরিচিত। এরপর ‘সংগঠক ও সংগঠন’ রাজনৈতিক বইটি লিখতে বাদী তাঁর সহকারী লেখিকা হিসেবে কাজ করেন।

পরে আসামির নিজের প্রতিষ্ঠান ‘আকাশ পাবলিকেশন’ থেকে প্রকাশিত ‘সময়ের আয়নায় পল্লীবন্ধু’ ছবি অ্যালবামের নির্দেশনা ও অঙ্গসজ্জা হিসেবেও বাদী কাজ করেন।

ওই কাজের জন্য বাদী আসামির সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতেন। তখন আসামি বাদীকে প্রায়ই ইভ টিজিংমূলক কথাবার্তা বলতেন। আসামি বাবার বয়সী ভেবে বাদী বিষয়টি এড়িয়ে যেতেন। এ ছাড়া আসামি বিভিন্ন সময় ফোনে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ম্যাসেঞ্জারে বাদীর কাছে নোংরা ছবি পাঠাতেন এবং ভিডিও কলে নোংরা প্রস্তাব দিতেন। কাজের প্রয়োজনে আসামির কাছে যেতে হতো বলে বাদী কঠোর প্রতিবাদ করতে পারতেন না।

মামলায় বলা হয়, চলতি বছর ১ জানুয়ারি আসামির জন্মদিনে তাঁর অনুরোধে বাদী রাজধানীর কোতোয়ালি থানাধীন বিউটি বোর্ডিংয়ে যান। সেখানে কেক কাটার পর আসামি বাদীকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে গাড়িতে তুলেন। পথে ড্রাইভার ও তাঁর সহযোগীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে রাত ৯টার দিকে মোহাম্মদপুর এলাকার একটি নিরিবিলি জায়গায় থেমে গাড়িতেই বাদীকে ধর্ষণ করেন। মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ছবি ও ভিডিওধারণ করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পরে তাঁকে বাসায় পৌঁছে দেন।

আসামির কাছে নোংরা ছবি ও ভিডিও থাকায় তিনি বাদীকে ব্ল্যাকমেইল করেন। এরপর বিভিন্ন সময় আসামির পাবলিকেশন হাউজ ও বিউটি বোর্ডিংয়ে একাধিকবার বাদীকে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ আসামি বাদীকে বিয়ে করবেন বলে ডেকে এনে গত ৩০ জুন ১২টা থেকে ২টার মধ্যে বিউটি বোর্ডিংয়ের দোতলার একটি কক্ষে ধর্ষণ করেন।