ফরিদপুর মেডিকেলে ডেঙ্গুতে মৃত্যু নিয়ে পাল্টাপাল্টি দাবি
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ফমেক) ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে গত ৯ দিনে ৩০ জন রোগী ভর্তি হয়। এদের মধ্যে একজন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ২৯ জন রোগী ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভর্তি রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, রোগীদের বেশির ভাগই ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা শহর থেকে আসা।
তেমনই ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের লোহারটেক বাছার ডাঙ্গী গ্রামের বাড়িতে ফেরেন সেলিম বিশ্বাস নামে এক গ্যারেজ মিস্ত্রি।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে রোববার বাড়িতে এসেছিলেন সেলিম বিশ্বাস। ওইদিন বিকেলে স্থানীয় চরভদ্রাসন আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্ত পরীক্ষা করা হয়। সেখানে রক্তে তাঁর ডেঙ্গু জ্বরের উপস্থিতি পাওয়া গেলে তাঁরা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন।
রাতেই সেলিমকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয় এবং সোমবার সকালে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। তবে ফরিদপুর মেডিকেলে এমন কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. কামদা প্রসাদ সাহা জানান, গত ২০ জুলাই থেকে হাসপাতালে ৩০ জন রোগী ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে একজন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাদের প্রত্যেকের জন্য একটি করে মশারির ব্যবস্থাসহ রোগীদের অধিক গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে এ পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।