মিন্নির স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন আদালতে

Looks like you've blocked notifications!
রিফাত হত্যাকাণ্ডের প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ১৪ আসামিকে আজ বুধবার আদালতে হাজির করা হয়। ছবি : এনটিভি

বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যাকাণ্ডের প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি হওয়া আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন আজ বুধবার সকালে কারাকর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌঁছায়।

এ বিষয়ে মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুল বারী আসলাম জানান, মিন্নি আদালতে দেওয়া তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের শুনানির জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু মামলার মূল নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে থাকার কারণে এ বিষয়ে কোনো শুনানি হয়নি।

এদিকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তারিখ ধার্য থাকায় জেল হাজতে থাকা আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ১৪ জন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। আজ সকালে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে তাঁদের হাজির করা হয়। পরে আদালতের কার্যক্রম শেষে সব অভিযুক্তকে আবার জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে এ মামলার অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কিসলু জানান, মামলার দিন ধার্য থাকায় রিফাত হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ১৫ অভিযুক্তের মধ্যে ১৪ অভিযুক্তকে আজ সকালে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ মামলার রাতুল নামের এক অভিযুক্ত কিশোর হওয়ায় সে বরিশালের একটি শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে। তাই তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

গোলাম মোস্তফা কিসলু আরো জানান, এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া শেষে জেল হাজতে থাকা সাইমুন ও শ্রাবণের জামিন আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তাঁদের আইনজীবীরা। এ ছাড়া আগামী ৭ আগস্ট থেকে সাইমুনের অনার্স পরীক্ষা শুরু হবে। তাই তিনি যেন কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন, এ জন্য আদালতে একটি আবেদন করা হয়। পরে আদালত এ আবেদনটিও মঞ্জুর করেন। আগামী ১৪ আগস্ট এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে বলেও জানান কিসলু।

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত এ মামলার এজাহারভুক্ত সাত জন আসামি এবং হত্যায় জড়িত সন্দেহে আরো আটজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার এই ১৫ জনের সবাই রিফাত হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর এ মামলার এজাহারভুক্ত চারজন অভিযুক্ত এখনো পলাতক রয়েছেন।