কিশোরগঞ্জে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছেই, আক্রান্ত ১৫৮ জন
কিশোরগঞ্জে প্রতিদিনই উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ক্রমবর্ধমান রোগীর কারণে জেলার হাসপাতালগুলোতে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবক-সেবিকারা। যদিও কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। তারপরও রোগীদের চাপে কুলিয়ে উঠতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের দেওয়া হিসাব মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরো ১৯ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৫৮ জন। তাদের মধ্যে গত কয়েক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত অন্তত পাঁচজনকে জরুরি অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১৪ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে। ২৬ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী রোগীসহ মোট ৩১ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া এদিন সুস্থ হওয়ায় ছয়জন রোগী হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. খালেকুল ইসলাম জানান, এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজন নতুন রোগী ভর্তিসহ ২৬ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
বাকিরা জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. আতাউর রহমান বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ পর্যন্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও ক্রমবর্ধমান রোগীর চাপে ওষুধ ও শয্যা স্বল্পতাসহ বিভিন্ন কারণে সামাল দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, রোগ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে যেসব রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে তাদের মশারির ভেতর রাখার চেষ্টা চলছে। আলাদা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ নিজ বাড়িতে আসার পর জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। ১৩টি উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকে প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ চলছে।