৪ বছরের মশার ওষুধ কেনার তথ্য চেয়েছে দুদক

Looks like you've blocked notifications!
মশা নিধনের ওষুধ আমদানি ও ব্যবহারে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদক কর্মকর্তারা আজ রোববার বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ে অভিযান চালান। ছবি : দুদক

মশা নিধনের ওষুধ আমদানি ও ব্যবহারে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত চার বছরের ওষুধ কেনার যাবতীয় নথি ও তথ্য চেয়েছে তারা। দুদক থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশব্যাপী ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এডিস মশা ও ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব। এমন প্রেক্ষাপটে দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন নম্বর ১০৬) অভিযোগ আসে, সিটি করপোরেশনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র মশা নিধনের ওষুধ আমদানিতে সিন্ডিকেট করে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে অকার্যকর ওষুধ আমদানি করেছে।

এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম আজ রোববার এ অভিযান পরিচালনা করে  বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসন্ধানে দুদক টিম দেখতে পায়, বিগত বছরগুলোতে রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট  কেবল কিউলেক্স মশা নিধনের পরীক্ষা সম্পন্ন করে কীটনাশক পরীক্ষার ফলাফল গ্রহণ করে ওষুধ আমদানি করা হয়েছে। দুদক টিম ২০১৯-২০ অর্থবছরে মশা নিধনের ওষুধ কিনতে এডিস মশার ওপর পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসন্ধানে দুদক টিম দেখতে পায়, গত চার বছর দ্য লিমিট অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান থেকেই এককভাবে ইনসেক্টিসাইড সরবরাহ করা হয়েছিল। চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিকোন লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ বিক্রির কার্যাদেশ দেওয়া হয়। দুদক টিম ২০১৫-২০১৯ সালের কার্যাদেশ প্রদান সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলী সংগ্রহ করে এবং এ ক্রয় প্রক্রিয়ায় কোনো দুর্নীতি হয়েছে কি না, তা বিশ্লেষণপূর্বক পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।