এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড, তদন্ত প্রতিবেদন ১১ সেপ্টেম্বর

Looks like you've blocked notifications!

রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন আজ রোববার দাখিল হয়নি। এজন্য আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এ দিন ধার্য করেন।

বনানী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ রাকিব উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়ায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেছেন।’

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল বনানীর কামাল আতাতুর্ক  এভিনিউতে ফারুক-রূপায়ণ (এফ আর) টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন।

ওই মামলায় কাশেম ড্রাইসেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসভীর উল ইসলাম, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল ও বুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এস এম এইচ আই ফারুককে আসামি করা হয়। এরপর ৩০ মার্চ রাতেই তাসভীর উল ইসলাম ও ফারুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে বিভিন্ন সময়ে তিনজনই জামিনে মুক্ত হন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বরে ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ণ গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। কিন্তু ভবনটি ২১তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। ভবনের ২০ ও ২১তলা জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করা হয়। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দুটি কিনে নেন কাশেম ড্রাইসেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভীর উল ইসলাম। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি ছাদের ওপর আরো দুইতলা নির্মাণ করে ভবনটিকে ২৩তলা পর্যন্ত বর্ধিত করেন।

 

 

ক্যাপশন

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বনানীর এফ আর টাওয়ার। পুরোনো ছবি : এনটিভি