ডেঙ্গুর কারণে মানুষ শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কে এম হেমায়েত উল্ল্যাহ্ আওরঙ্গজেব স্মৃতি সংসদ আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : এনটিভি

ডেঙ্গুর কারণে দেশের মানুষ এখন শঙ্কা ও উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘এখন সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হচ্ছে আমরা বাঁচব কি বাঁচব না এর অনিশ্চয়তা। মানুষ শঙ্কা নিয়ে দিন কাটাচ্ছে- ডেঙ্গু আক্রান্ত হবে কি হবে না। আমাদের সাহেবরা যারা আমাদের মাথার ওপর ছুরি দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন তাঁরা বলেন, না সব কিছু ঠিক আছে, নিয়ন্ত্রণে আছে।’

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কে এম হেমায়েত উল্ল্যাহ্ আওরঙ্গজেব স্মৃতি সংসদ আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রাষ্ট্রের বর্তমান যে অবস্থা এবং আজকে সরকার দেশকে যেদিকে নিয়ে যাচ্ছে তাতে এ রাষ্ট্র বিপন্ন হয়ে পড়ছে। একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে পড়ছে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ‘উন্নয়ন? কোথায় উন্নয়ন? যেখানে আমি হাসপাতালে আমার রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারি না, যেখানে মশা নিধনের ওষুধ আনতে পারি না, নিরাপদ সড়ক তৈরি করতে পারি না, সেখানে উন্নয়নটা কোথায়?’

ডেঙ্গু আক্রান্তের পরিসংখ্যান নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জুন মাসে প্রথম যখন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আক্রান্ত হন তখন দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬ জন। আজকে পত্রিকার খবরে আসছে সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১৫ হাজার ৭৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত। অথচ জুন, জুলাই, আগস্ট এই তিন মাস নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছেন আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি কিছু জানেন না। কয়জন মারা গেছে তাও বলতে পারেন না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের মেয়ররা আমরা জানি কীভাবে তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা বলেন, ডেঙ্গু গুজব। এখনো তারা যেসব কথাবার্তা বলছেন তাতে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায় যে, এদের কোনো দায়িত্বশীলতা নেই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভাবছে তারা চিরদিন ক্ষমতায় থেকে যাবে। পারবে না। কারণ খালেদা জিয়ার শক্তি অন্য জায়গায়। দেশনেত্রীর শক্তি এ দেশের সাধারণ মানুষ তাঁকে ভালোবাসে। উনি কারাগার থেকে বের হবেন এবং এ দেশের মানুষ তাঁকে বের করবে, সংগ্রামের মধ্য দিয়েই বের করবে। সুতরাং হতাশ হবেন না। আমরা বারবার এ সংকটে পড়েছি, বিপদে পড়েছি। কিন্তু আবার ফিনিক্স পাখির মতোই জেগে উঠেছি।’

স্মরণ সভায় অন্য বক্তারা বলেন, হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেও এটি ছিল রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। ভবিষ্যতে তদন্তের মাধ্যমে এই রহস্য উন্মোচন করে জড়িতদের বিচার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন হেলেন জেরিন খান, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মোহাম্মদ আবু জাফর প্রমুখ।