ঈদের বাকি পাঁচ দিন, ক্রেতা নেই গরুর হাটে

Looks like you've blocked notifications!

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র পাঁচ দিন। আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানীতে জমে উঠেছে গরুর হাট। তবে ক্রেতা নেই হাটে; রয়েছে দর্শনার্থী, করছেন যাচাই-বাছাই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিক্রি শুরু হতে আরো দু-একদিন লাগবে।

তবে আরো এক সপ্তাহ আগে থেকে গাবতলীসহ কয়েকটি হাটে আসতে শুরু করে কোরবানির গরু। বেচাকেনা না থাকলেও মাঠ দখল করা, বন্যা পরিস্থিতিতে ঢাকায় নিরাপদে পৌঁছানো এবং পশুর বাড়তি যত্ন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।

যদিও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ইজারাদারকে দেওয়া কার্যাদেশের শর্তাবলির এক নম্বরে বলা আছে, ‘গবাদি পশুর হাট ঈদের দিনসহ মোট ছয় দিন চালু থাকবে। ১২ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা। সে হিসেবে ৭ আগস্টের আগে হাট বসতে পারবে না।’ কিন্তু এসব শর্ত মেনে চলেননি রাজধানীর কোনো ইজারাদার।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর কয়েকটি হাট ঘুরে দেখা যায়, ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে পশু বিক্রির অনুমতি দিয়েছে সিটি করপোরেশন। ক্রেতা-ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করতে এরই মধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন হাটের ইজারাদাররা।

রাজধানীর শনির আখড়া ও গাবতলী পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু নিয়ে আসছেন বেপারীরা। তবে বেচাকেনা নেই।

শনির আখড়া এলাকার ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কিছুদিন পর রাস্তায় যানজট বেড়ে যাবে। বিপুল পরিমাণ গরু আনা হয় বলে সুবিধামতো স্থানে গরু রাখা যায় না। তাই আগেভাগেই গরু নিয়ে এসেছি। এখন পছন্দমতো জায়গা পাওয়া যাবে।’

তবে কোনো গরু বিক্রি হচ্ছে না। কেউ কেউ তাঁদের হাটে নিয়ে আসা গরু বা ছাগলকে গোসল করাচ্ছেন।

রবিউল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমার কাছে যে গরু আছে, তার বেশিরভাগেরই দাম ৮০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা।’

গাবতলীর হাটে সবচেয়ে বড় গরু ও উট ওঠানো হয়েছে। ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি এ হাটে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আরো দু-একদিন পরেই গরু বিক্রি শুরু হবে। এখন মানুষ আসছে আর দেখে চলে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে গরু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মেহেরপুর থেকে গাবতলী হাটে গরু এনেছি। এখনো বিক্রি হচ্ছে না। মানুষ গরু দেখছে, ঘুরেফিরে চলে যাচ্ছে।’

ঢাকার ২৪টি কোরবানির পশুর হাটের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪টি অস্থায়ী পশুর হাট হলো—উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেটসংলগ্ন খালি জায়গা, জিগাতলা হাজারীবাগ মাঠ, রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ, কামরাঙ্গীরচর, পোস্তগোলা, শ্যামপুর বালুর মাঠ, মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন খালি জায়গা, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সামসাবাদ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, গোপীবাগ মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামসংলগ্ন জায়গা, শনির আখড়া ও দনিয়া মাঠসংলগ্ন জায়গা, ধূপখোলা মাঠ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউয়ারটেক মাঠ, আমুলিয়া মডেল টাউনের খালি জায়গা এবং আফতাবনগর ইস্টার্ন হাউজিংয়ের লোহারপুলের খালি জায়গা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী ১০টি পশুর হাট হলো—গাবতলী পশুর হাট (স্থায়ী) উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টর, কাওলা, ভাটারা, আফতাবনগর তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বছিলা, মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং, ভাসানটেক ও মিরপুর ডিওএইচএসের পেছনের খালি জায়গা।

এদিকে গাবতলী এলাকার একাধিক হাটের ইজারাদার জানান, মূলত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বেপারীরা গরু নিয়ে আসছেন। বিশেষ করে সাতক্ষীরা, যশোর, সুনামগঞ্জ, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুরসহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে গরু নিয়ে আসছেন বেপারীরা।