অবশেষে দুবলার চরে শুঁটকি করার অনুমতি পেল জেলেরা

Looks like you've blocked notifications!
বনবিভাগের অনুমতির জন্য পশুর নদে অবস্থান করছে মাছধরা নৌকা ও ট্রলারগুলো। দীর্ঘদিন পর আজ বুধবার অনুমতি মিলেছে সাগরে মাছ ধরার ও দুবলার চরে শুঁটকি করার। খুব দ্রুতই এসব নৌকা ও ট্রলার রওনা দেবে সাগরে। ছবি : এনটিভি

অবশেষে সমুদ্রে মাছ ধরার ও শুঁটকি প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি পেয়েছেন সুন্দরবন এলাকার জেলেরা। আজ বুধবার মাছ ধরা ও শুঁটকি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আরোপ করা বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছে বনবিভাগ।

আজ বুধবার প্রধান বন সংরক্ষক থেকে খুলনার বন সংরক্ষককে দেওয়া এক চিঠিতে এ অনুমতির কথা জানানো হয়। বনবিভাগের খুলনা সার্কেলের সংরক্ষক ড. সুনীল কুমার কুণ্ডু বিষয়টি জানিয়েছেন। জেলেরা এখন ট্রলার ও নৌকা নিয়ে পশুর ও শিবসা নদী দিয়ে দুবলার চর রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দুবলার চরে শুঁটকি প্রক্রিয়া করতে সীমিতভাবে শীতকালীন অস্থায়ী জেলেপল্লী বসাতে অনুমতি দিয়েছে বনবিভাগ।

দুবলার আলোর কোলের শুঁটকি ব্যবসায়ী মায়িন ফরাজী জানিয়েছেন, প্রতি বছর অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে দুবলার চরে এ শুঁটকির পল্লী বসলেও এ বছর তা বৈধভাবে এক মাস পরে শুরু হচ্ছে। এতে করে জেলে ও মৎস্যজীবীদের এক মাস মাছ ধরা থেকে পিছিয়ে পড়ায় মোটা অঙ্কের টাকা লোকসান গোনার আশঙ্কা আছে। তবে দেরিতে হলেও অনুমতি দেওয়ায় জেলেরা খুশি। দু-একদিনের মধ্যেই জেলেরা সাগরে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ বিষয়ে দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান (অব.) মেজর জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘বুধবার এ অনুমতি মেলায় দুবলার চর নিয়ে বিদ্যমান অচল অবস্থার অবসান ঘটল। এতে করে এ অঞ্চলের কয়েক হাজার জেলে মহাজন ও তাঁদের পরিবারের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।’

বনবিভাগের খুলনা সার্কেলের সংরক্ষক ড. সুনীল কুমার কুণ্ডু বলেন, ‘মাছ আহরণ ও শুঁটকি প্রক্রিয়ায় অনুমতি মিললেও এ ব্যাপারে বনবিভাগ কঠোর নজরদারি বজায় রাখবে। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’