পাবনায় এডিস মশার লার্ভার সন্ধান, সচেতন হওয়ার পরামর্শ

Looks like you've blocked notifications!
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল। ছবি : এনটিভি

পাবনা পৌর এলাকার তিনটি স্থানে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। মশা পরীক্ষার সময় ডেঙ্গুর লার্ভার অস্তিত্ব পেয়েছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল এ তথ্য জানান।

সিভিল সার্জন জানান, জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ধারাবাহিকভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষা চালাচ্ছে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কীটতত্ত্ববিদ হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল।

গত ৬ আগস্ট পর্যন্ত জেলার কোথাও ডেঙ্গু জীবাণুবাহী এডিস মশার অস্তিত্ব না মিললেও, বেশ কয়েকজন রোগী পাবনা থেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ায় বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে স্বাস্থ্য বিভাগকে। ফলে জেলায় মশা পরীক্ষা শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগের কীটতত্ত্ব বিভাগ।

গতকাল বুধবার পাবনা পৌরসভার ৩০টি স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনটি স্থানে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম শহরের বাস টার্মিনাল ও বিআরটিসি বাস ডিপোতে পরিত্যক্ত টায়ারে জমে থাকা পানিতে এবং শহরের প্রধান সড়ক আব্দুল হামিদ রোডের লতিফ টাওয়ারের নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। যেহেতু তিনটি পৃথক স্থানে লার্ভা পাওয়া গেছে তাই জেলার আরো অনেক স্থানেই এডিস মশা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।

সিভিল সার্জন আরো জানান, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় এডিস মশার বিস্তারে অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। নিজ নিজ বাড়ির আশপাশের মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করতে জনগণকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে, মাঝখানে কিছুটা কম থাকলেও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। পাবনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৩ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এই হাসপাতালে বর্তমানে ৩৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে। এ নিয়ে গত ১৮ দিনে ১৪১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ডেঙ্গু শনাক্ত করতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ১০২টি কিট দেওয়া হলেও তা শেষ পর্যায়ে। যেভাবে দিন দিন রোগী বাড়ছে তাতে কমপক্ষে ৫০০ কিট হাতে রাখা প্রয়োজন।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রঞ্জন কুমার দত্ত কিট সংকটের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রতিদিন অস্বাভাবিক হারে রোগী বাড়ছে। ৩৫টি শয্যা দিয়ে নতুন ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হলেও সেখানে রোগীর চাপ বেড়েছে। ফলে অনেক রোগীকে মেঝেতে শয্যা পাততে হয়েছে। তবে একজন রোগীও চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাবে না।’