পাবনায় মহাসড়কে বাঁশের হাট, বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা
আর মাত্র কিছুদিন পরেই ঈদুল আজহা। এ সময় যানবাহনের চাপ বেশি থাকে। কিন্তু পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বাঘাবাড়ী-টেবুনিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর বসানো হয়েছে বাঁশের হাট। ফলে আধা কিলোমিটার সড়কে যেমন হচ্ছে যানজট, তেমনি মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। এই বাঁশের হাটটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন এ রুটে চলাচলকারী যানবাহন চালক ও পথচারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে রাঙ্গালিয়া মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কের উপর বাঁশের হাট বসেছে। সড়কের দুই ধারে ঝুঁকি নিয়ে চলছে বেচাকেনা। সড়কের উপর বাঁশ রেখে বেচাকেনা করায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০ বছর আগে ভেড়ামারা বাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর অস্থায়ীভাবে বাশেঁর হাট গড়ে ওঠে। এর পর থেকে এ সড়কের বাঁশের ব্যসসা রমরমা হতে থাকে। যদিও প্রতি সপ্তাহে রোববার ও বৃহস্পতিবার এখানে বাঁশের হাট বসে। এটি নিয়ন্ত্রণ করছেন স্থানীয় হাট ইজারাদার রফিক আলী।
এই রুটে চলাচলকারী কোচ, মিনি বাস ও ট্রাক চালকরা জানান, প্রতিদিন এই মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, কুমিলা অঞ্চলের কোচ, মিনিবাস এবং ট্রাক চলাচল করে থাকে। এমনিতেই এ সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। তার ওপর সড়কের পাশে বাঁশের হাট অনেকটা গোদের উপর বিষফোঁড়ের মতো।
এ ব্যাপারে ভেড়ামারা বাঁশের হাটের ইজারাদার রফিক আলী বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দরপত্র আহ্বানের ভিত্তিতে ইজারা নেওয়া হয়েছে। হাটের মধ্যে হঠাৎ একটি গাড়িতে বাঁশ লোড করতে গেলে একটু যানজট লেগে যায়।’
পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল্লা হক বলেন, ‘সড়কে বাঁশের হাট বসার কারণে জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে সেটা আমরা জানি। হাটের নির্ধারিত জায়গার জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে দাবি জানানো হয়েছে।’
এ ব্যাপারে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘সড়কের উপর বাঁশের হাট বসানো সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। তবে হাটটি দ্রুত অপসারণ করা হবে।’