থানায় ‘গণধর্ষণ’ : ওসি, এএসআইর বিরুদ্ধে মামলা

Looks like you've blocked notifications!

খুলনা রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় পুলিশ হেফাজতে এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সহকারী উপপরিদর্শকসহ (এএসআই) পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

‘ভুক্তভোগী’ ওই নারী গতকাল শুক্রবার রাতে আদালতের নির্দেশ মেনে নিজে বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পাকশী রেলওয়ে সার্কেলের পুলিশ সুপার (এসপি) নজরুল ইসলাম।

এসপি আরো বলেন, মামলায় ওসি উছমান গণি ও এএসআই নাজমুলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো তিন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। তবে আজ সকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

থানা হেফাজতে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর রেলওয়ে পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনার তদন্তে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় এরই মধ্যে ওসি উছমান গনি পাঠান ও এএসআই নাজমুলকে খুলনা জিআরপি থানা থেকে প্রত্যাহার করে পাকশী পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে।

মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ২ আগস্ট বাদী যশোরের বেনাপোল থেকে খুলনা আসার পথে জিআরপি পুলিশের হাতে আটক হন। পরদিন ৩ আগস্ট রেলওয়ে পুলিশের এএসআই লতিকা বিশ্বাস বাদী হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। তাতে উল্লেখ করা হয়ে, বাদীর কাছ থেকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। তারপর তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

কিন্তু ওই নারীর দেহে ক্ষতচিহ্ন থাকায় আদালত নারীকে আগে চিকিৎসা করানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। রেলওয়ে পুলিশ নারীকে খুলনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেয়। তাঁর ভর্তি স্লিপে দেখানো হয়, ‘পাবলিক অ্যাসল্ট।’

চিকিৎসা শেষে ৪ আগস্ট নারীকে পুনরায় আদালতে উপস্থাপন করে খুলনা জিআরপি থানা। তখনই ওই নারী আদালতে পুলিশ হেফাজতে গণধর্ষণের কথা জানান। তখন আদালত নারীর জবানবন্দি নেন। পাশাপাশি পুলিশ সুপারকে ওই নারীর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।