গণপরিবহনেও ঈদ সালামি
‘মামা, সারা বছরই তো নির্দিষ্ট ভাড়া দেন, ঈদের তিন দিন একটু বেশি না দিলে আমরা ঈদ কীভাবে করব? আপনারা তো বোনাস পেয়েছেন, আমাদের তো বোনাস নেই।’
এভাবেই যাত্রীদের কাছে থেকে বাড়তি ভাড়া চেয়ে নিচ্ছেন কোমল পরিবহনের হেলপার রাজন।
আজ রোববার রাজধানীর গুলিস্তান, কারওয়ান বাজার, উত্তরা, মিরপুর, পল্লবী, ধানমণ্ডি, রায়েরবাগ, শনির আখড়া, সদরঘাট, গাবতলী, কল্যাণপুরসহ একাধিক এলাকায় দেখা গেছে, বিভিন্ন পরিবহনে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন বাস পরিবহন শ্রমিকরা। তবে খুশিমনেই শ্রমিকদের বাড়তি ভাড়া দিচ্ছেন যাত্রীরা।
রায়েরবাগে তুরাগ পরিবহনে মিকাইল নামের এক যাত্রী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা তো চাকরি করি, বোনাস আছে। কিন্তু এদের তো বোনাসের ব্যবস্থা নেই। তাই ২৫ টাকার ভাড়া আজ ৩০ টাকা দিলাম। ঈদের পরের দিন পর্যন্ত নাকি তারা বাড়তি ভাড়া নেবে শুনলাম।’
শিকড় পরিবহনের চালক আবেদ বলেন, ‘ঈদের দিন আমাদের পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরির সময় নেই। কোরবানি দেওয়ারও ক্ষমতা নেই। তাই সবার থেকে বকশিশ চেয়ে নিচ্ছি। কেউ যদি দিতে না চায়, তাহলে জোর করা হচ্ছে না।’
সদরঘাটে সুপ্রভাত পরিবহনে করে বাড্ডা যাচ্ছিলেন তুহিন। তিনি বলেন, অন্যদিনের ভাড়া থেকে আজ ১০ টাকা বেশি ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। তবে ঈদের জন্য বাড়তি ভাড়া দেওয়া যায়।