টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

Looks like you've blocked notifications!

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে স্বাধীনতার স্থপতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।

সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায় এবং বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে শহীদ সকলের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে আয়োজিত ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। মোনাজাতে দেশের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।

পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির জনকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ ছাড়া গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

পরে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে সকালে জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। ধানমণ্ডি থেকে বনানী কবরস্থানে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ১৫ আগস্টে শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে হেলিকপ্টারযোগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজ গ্রামে পৌঁছান শেখ হাসিনা।

১৯৭৫ সালের শোকাবহ এই কালো দিবসে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমণ্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।

পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।