৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা

Looks like you've blocked notifications!

আগামী ১ সেপ্টেম্বর ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথসভায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। সভায় দলের জ্যেষ্ঠ  যুগ্ম মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সেদিন সকাল ১০টায় সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। বিএনপির উদ্যোগে র‌্যালি, আলোচনা সভা, পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভার তারিখ ও স্থান পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বর সারা দেশে পালনের জন্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দেশব্যাপী বিএনপির সব ইউনিট ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টায় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে। স্থানীয় সুবিধানুযায়ী দলের জেলা ও মহানগরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ইউনিটগুলো দিবসটি উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করবে। অনুরূপভাবে সারা দেশে র‌্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।

এ ছাড়া আজকের সভায় আরো যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা হলো-

১. দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

২. সম্প্রতি বন্যা, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা নিহতদের স্বজনরাসহ দুর্গত মানুষদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয় ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।

৩. দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতন যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে তাতে সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন ও হাবিব উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মাহবুবুর রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স ও ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম, সেলিমুজ্জামান সেলিম ও হারুন অর রশিদ হারুন, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুহম্মদ মুনির হোসেন ও বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিদ আঞ্জু, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইয়াসিন আলী, যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এবিএম আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব, ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মো. নেছারুল হক, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান,  তাঁতী দলের সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম ও মহিলা দল নেত্রী রোকেয়া চৌধুরী বেবী।