এফডিসিতে আতঙ্ক

Looks like you've blocked notifications!

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন নায়ক আলমগীর ও নায়িকা ববি। বর্তমানের তাঁরা দুজনেই ভালো আছেন। তবে এফডিসিজুড়ে এখন ডেঙ্গু আতঙ্ক, যে কারণে কমেছে লোকজনের সমাগম। বিশেষ কাজ ছাড়া এফডিসিতে আসছেন না কেউ। সুইমিংপুল, ঝর্ণা স্পট, প্রশাসনিক ভবনের পেছনসহ এফডিসিজুড়ে মাশার উপদ্রব। যে কেউ যেকোনো সময় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন বলে টেকনিশিয়ানরা দাবি করছেন।

ক্যামেরাপারসন সাইফুল শাহিন বলেন, ‘এফডিসিতে এখন আর যেতে সাহস পাই না। বিশেষ কোনো মিটিং থাকলে এফডিসিতে যাওয়া হয়, তাও কম সময়ের জন্য। যতক্ষণ আমি এফডিসিতে থাকি, নিজের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে। কারণ, চারপাশে প্রচুর মশা। কিছুদিন আগে আমার ছোট ভাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়, যে কারণে পরিবার থেকে এফডিসিতে আসা একেবারেই নিষেধ।’

চলচ্চিত্র সহকারী পরিচালক সমিতির অফিস সহকারী শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ঈদের পর থেকে আমাদের অফিসে তেমন কেউ আসছেন না। যাঁরা আসছেন, সবার মধ্যে ডেঙ্গুর আতঙ্ক। আগে প্রায় প্রতিদিনই ৫০-৬০ জন মানুষ আড্ডা দিতেন। এখন সারা দিনে দু-চারজন আসেন। আমাদের অফিসটি এফডিসির সুইমিংপুলের পাশে। এখানে প্রচুর মশা থাকে সারা বছরই। যে কারণে ডেঙ্গুর ভয় এখানে একটু বেশি। আমি সারা দিন কয়েল জালিয়ে রুমের মধ্যে বসে থাকি।’

এফডিসির ক্যান্টিনে আগের মতো মানুষ আসে না জানিয়ে ম্যানেজার রহমান মিয়া বলেন, ‘ঈদের পর ক্যান্টিনে বিক্রি একেবারেই কমে গেছে। সবার মধ্যে ডেঙ্গু আতঙ্ক। যাঁরা আসেন, সবাই মশা নিয়ে চিন্তিত। বিকেলে দু-একজন এলেও কেউ বেশি সময় এখানে থাকে না।’

বিষয়টি নিয়ে বিএফডিসির গণসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রী বড়ুয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা আমাদের সাধ্যমতো এফডিসি পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি। প্রতিদিনই পরিষ্কার করা হয় এফডিসির বিভিন্ন জায়গা। আমাদের যে কয়টা সমিতি আছে, তারাও নিজের আশপাশ পরিষ্কার রাখছে। তবে মশা মারার কোনো ওষুধ আমাদের নেই। যে কারণে মশা মারার আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই আমাদের।’